ক্রীড়া ডেস্ক
বিপিএলটা যেন জগাখিচুড়ি বানিয়ে ফেলল এক দুর্বার রাজশাহী! তাদের খেলার চেয়েও শুধু পারিশ্রমিকের ইস্যুটাই বেশি আলোচনায়। টাকার জন্যই তো খেলেন ক্রিকেটাররা, আলোচনা হওয়াটাও স্বাভাবিক। পাওনা পরিশোধ নিয়ে অনেক সময়ই কথা হয়, তবে চেক দিয়ে এত নাটকীয়তা খুব একটা দেখা যায় না। দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের চেক আরেও একবার বাউন্স করেছে আজ। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নেই পর্যাপ্ত টাকা। এই নিয়ে তিন বার তাদের চেক বাউন্স (চেক ভাঙিয়ে টাকা না পাওয়া) করেছে।
তবে বিসিবি জানিয়েছে, পারিশ্রমিক ইস্যুতে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চাপের মধ্যে রাখছে। রাজশাহীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা এরই মধ্যে জানিয়েছে তারা। শুধু রাজশাহী নয়, চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধেও পারভেজ হোসেন ইমনকে পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বত্বাধিকারী সামির কাদের চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ইমনের খেলায় সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। এ জন্য পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি (কয়েক দিন আগেও)।
বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক প্রসঙ্গে আজ মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘আসলেই সে (রাজশাহী), যাদের সঙ্গেই বেশি আলাপ হয়েছে, যারা একটু পিছিয়ে আছে বা বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছে। সেখানে তারা সামনে কীভাবে এই সমস্যাটা মধ্যস্থতা করবে তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা কিছু কিছু অঙ্গীকার করেছে কীভাবে করবে, সেটা আমরা শুনেছি-জেনেছি। তাদেরকে আমরা কিছুটা সময় দিয়েছি ওই অঙ্গীকারগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য।’
ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চাপের মধ্যে রাখার কথাও বললেন ফাহিম, ‘কিন্তু যেভাবে বললাম, আমরা প্রতি মুহূর্তে অনুসরণ করব তাদেরকে, তারা তাদের অঙ্গীকার কতটুকু রাখছে। তাদেরকে যতটুকু সম্ভব চাপে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের কথা যদি বলি, বিশেষ করে তাদের দিক থেকে যেন ঘাটতি না থাকে, তারা যেন সন্তুষ্ট থাকে, এ বিষয়গুলো যেন তারা নিশ্চিত করে।’
ইমনের খেলায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি চিটাগংয়ের স্বত্বাধিকারী। এ জন্য পারিশ্রমিক না দেওয়া কিংবা ক্রিকেটারের প্রতি সম্মানবোধের অভাবও দেখছেন ফাহিম। বিসিবি পরিচালক বললেন, ‘না, এটা তো অবশ্যই, আমরা আশা করি না, এ রকম মন্তব্য কেউ করবেন। হয়তো একটা দল ভালো খেলতে পারে–খারাপ খেলতে পারে, একজন ক্রিকেটার ভালো খেলতে পারে–খারাপ খেলতে পারে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যাকে নিয়ে কথা হয়েছে, তার মতো একজন খেলোয়াড় তার মতো করে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু এটা খেলার একটা পাঠ, ইটস গ্রেট গেম—কিন্তু সম্মানবোধটা, দিন শেষে একে অপরকে সম্মানই তো চাওয়া। এটা থাকাটা জরুরি। বিশেষ করে যারা নেতৃত্বের পর্যায়ে থাকবেন, যারা একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক হবেন, একটা দলের অধিনায়ক হবেন, কোচ হবেন—তারা হবেন সকলের আদর্শ। তাদের কাছ থেকে পেশাদার আচরণ জরুরি।’