নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফুটবল নাকি ক্রিকেট-বাংলাদেশের এক নম্বর খেলা কোনটি? এ নিয়ে তর্কের অন্ত নেই। বাংলাদেশের ফুটবল নিজেদের সোনালি সময়টা পেছনে ফেলে এসেছে অনেক আগেই। ফুটবলের জাগরণ ফেরাতে অবশ্য চেষ্টার কমতি নেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)।
ফুটবলের সোনালী সময় যখন থেকে পড়তির দিকে, জনপ্রিয়তার জায়গাটা দখল করে নিয়েছে ক্রিকেট। ফুটবল-ক্রিকেটের মতো অন্য খেলা গুলো বাংলাদেশে সে অর্থে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পোঁছাতে পারেনি। সে যাই হোক, ফুটবল না ক্রিকেট-চিরায়ত সেই তর্ক আবার সামনে আসল বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির (বিএসপিএ) ৬০ বছর পূতি অনুষ্ঠানে।
৬০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য দেশের ১০জন ক্রীড়া সাংবাদিককে সম্মাননা দিয়েছে বিএসপিএ। একই সঙ্গে আট ক্যাটাগরিতে ১০জন ক্রীড়াবিদকেও সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সম্মানিত ১০জন ক্রীড়াবিদের একজন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
এঁদেরই একজন বাফুফের সভাপতি কাজি সালাউদ্দিন। এরমধ্যে বিএসপিএ'র সেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হয়েছেন সাকিব। দ্বিতীয় হয়েছেন কাজি সালাউদ্দিন, তৃতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাঝে মঞ্চে তর্ক জমে ফুটবল না ক্রিকেট বাংলাদেশের এক নম্বর খেলা। তর্কের মাঝ থেকেই সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর কাছে বাংলাদেশর এক নম্বর খেলা কোনটি? ক্রিকেট নাকি ফুটবল? হাসোজ্জল সাকিব উত্তরে বললেন, 'কাবাডি'।
এরপরই প্রশ্ন ছুড়ে যায় বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনের কাছেও। বাফুফে সভাপতি অবশ্য হাস্যরসে সাকিবকেও ছাড়িয়ে গেছেন। তাঁর কাছে ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি তো নয়ই, রাজনীতি দেশের এক নম্বর খেলা। বাফুফে সভাপতি উত্তরটা যে মজা করেই দিয়েছেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিএসপিএ'র সেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের হওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন সাকিব। তিনি বলেন, 'আমার জন্য অনেক গর্বের বিষয়। ব্যক্তিগতভাবে আমার সেরা অর্জন। এখানে যে ১০ জন আছেন, সবাই তাদের জায়গায় সেরা। সবাই যার যার খেলায় অবদান রেখেছেন। একজন তো সেরা হিসেবে নির্বাচিত করতেই হতো। সেটা শেষ পর্যন্ত আমি হয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ যারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আশা করি ভবিষ্যতে যতদিন খেলায় থাকব, এই পুরস্কারের প্রতিদান দিতে পারব।'