ক্রীড়া ডেস্ক
করোনায় টিকিট বিক্রি ও সম্প্রচারস্বত্ব থেকে রিয়াল মাদ্রিদের ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৪০ লাখ ইউরো। সেই ধাক্কা সামলে লাভের পথে যেমন ফিরেছে রিয়াল, তেমনি ইউরোপের সবচেয়ে দামি ক্লাবের সিংহাসনটাও আরও একবার নিজেদের দখলে রেখেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
আগামীকাল দিবাগত রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে রিয়াল। সেই ম্যাচের আগে আরও একবার দামি ক্লাবের তকমা গায়ে নিয়ে প্যারিসে খেলতে নামবে কার্লো আনচেলত্তির দল। ফুটবলার ও ফুটবল ক্লাব নিয়ে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ফুটবল বেঞ্চমার্ক বলছে, দল ও আর্থিক লাভ মিলিয়ে রিয়ালের বর্তমান বাজারদর ৩.১৮ বিলিয়ন ইউরো।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ৩২ দলের একটি র্যাঙ্কিং করেছে ফুটবল বেঞ্চমার্ক। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সেই র্যাঙ্কিংয়ে রিয়ালকে নিয়ে প্রতিবেদনের লেখক আন্দ্রেয়া সারতোরি লিখেছেন, ‘খেলা আর বাণিজ্যিক সাফল্যে রিয়াল অন্য সবাইকে ছাপিয়ে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে আছে।’
২০২০ সালে করোনার আগে রিয়ালের দাম ৩.৫ বিলিয়ন ইউরো নির্ধারণ করেছিল ফুটবল বেঞ্চমার্ক। বিশাল অঙ্কের ক্ষতির পরও স্প্যানিশ ক্লাবটি হাতেগোনা কয়েকটি ক্লাবের একটি, যারা করোনার মধ্যেও লাভের মুখ দেখেছে। বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের শেষ ও পরের বছরের শুরুতে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে বড় অঙ্কের লাভ দেখবে রিয়াল। শুধু রিয়ালই নয়, আগামী বছরের শুরুতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্লাবগুলো নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে বিশ্বাস ফুটবল বেঞ্চমার্কের।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সুসময়ে মূল্য হারিয়েছে বার্সেলোনা। ২.৮ বিলিয়নে ইউরোপের তৃতীয় দামি ক্লাবের তালিকায় আছে বার্সা। ২.৯ বিলিয়ন ইউরোতে দুইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। করোনার সময়ে সবচেয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল এ দুটি দল। মাথার ওপর ঝুলে আছে বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা। ২.৫৬ বিলিয়ন ইউরোতে যৌথভাবে পাঁচে বায়ার্ন মিউনিখ ও লিভারপুল।
সেরা ৩২ দলের মধ্যে ১০ দলই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের। মৌসুমে ৫.১ বিলিয়ন ইউরো লাভে বাকি চার লিগের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে প্রিমিয়ার লিগ। প্রথমবারের ২ বিলিয়নি ক্লাবে ঠাঁই পেয়েছে ফুটবলের নব্য ধনী পিএসজি। ২.১৩ বিলিয়ন ইউরোতে আছে আট নম্বর স্থানে।