ক্রীড়া ডেস্ক
ঢাকা: গত এক দশকে পেপ গার্দিওয়ালা যে স্বাদ পায়নি, গতরাতে সেটিই তিনি পেলেন। ১০ বছর পর গার্দিওলার দল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। এই সময়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল দলকে সেমিফাইনালে তোলা। সেটি বায়ার্নের হয়ে। এবার ম্যানচেস্টার সিটিকে ফাইনালে তুলেই ছেড়েছেন তিনি।
দলকে ফাইনালের মঞ্চে তুলে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত গার্দিওলা। কাল পিএসজিকে হারিয়ে সিটির স্প্যানিশ কোচ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এখন তাঁর চোখ শিরোপায়, ‘এই জয় আমাদের সবার। সত্যিই খুব গর্বিত এবং জেতার পর আমার প্রথমেই মনে পড়েছে আজ যারা খেলতে পারেনি তাদের কথা। প্রত্যেকেই একাদশে থাকার যোগ্য ছিল। এই ফাইনালে ওঠার পেছনে সবারই অবদান আছে। এখন সময় শুধু উপভোগ করার। প্রিমিয়ার লিগও আমরা জিততে যাচ্ছি আবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগেও প্রস্তুতি নিতে ৩ সপ্তাহের মতো সময় পাব।’
ইতিহাদে কাল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ম্যানচেস্টার সিটিকে। পিএসজির বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতে ফাইনালের পথে এক পা আগেই দিয়ে রেখেছিল সিটিজেনরা। কাল ইতিহাদে দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে গার্দিওয়ালার দল।
দলকে চ্যাম্পিয়নসলিগের ফাইনালে তোলা সহজ কাজ নয়। দরকার গোছানো পরিকল্পনা এবং সেই পরকল্পনার নিখুঁত বাস্তবায়ন। সেটি যে ঠিকঠাক হয়েছে, ম্যাচ শেষে বললেন গার্দিওলা, ‘সবাই মনে করে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা এ আর কী এমন! ফাইনালে ওঠার পরই বোঝা যাচ্ছে শেষ চার-পাচ বছরে আসলে আমরা কেমন খেলেছি। ছেলেরা এই সময়টায় দারুণ ধারাবাহিক ছিল। এটা অসাধারণ।’