মিল্টন চাকমা, মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি সদর থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরের দুটি গ্রামে এখনো বিদ্যুতের বাইরে পড়ে আছে। গ্রামের পাশ দিয়ে বিদ্যুতের তার গেলেও পায়নি সংযোগ। এতে তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে গ্রামবাসী।
সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুড়াপাড়া ও যৌথখামার ত্রিপুরাপাড়ার এই অবস্থা। দুই গ্রামে অন্তত ৩০০ পরিবারের বাস। গ্রাম দুটি ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে পাশাপাশি অবস্থিত মুড়াপাড়া ও ত্রিপুরাপাড়া।
দুই গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিসেফ পরিচালিত দুটি পাড়াকেন্দ্র, তিনটি বৌদ্ধবিহার, একটি হরিমন্দির ও একটি ত্রিপুরা ছাত্রাবাস আছে। গ্রামের পাশে লাইন থাকলেও বিদ্যুৎহীন গ্রাম দুটি। গ্রামের বাসিন্দা বিনন্দ ত্রিপুরা বলেন, ‘গ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের দাবি করে আসছেন। কিন্তু কোনো সুফল পাচ্ছি না। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’
বিনন্দ ত্রিপুরা জানান, যেখানে সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দুর্গম এলাকায়ও বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, সেখানে গ্রামের পাশেই লাইন থাকলেও সংযোগ পাচ্ছেন না গ্রামবাসী। এতে আধুনিক প্রযুক্তির সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।
সদর ইউপি সদস্য দো অং প্রু মারমা বলেন, ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটির বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ বিভাগে আবেদন করা হয়েছিল। বিভাগের এক কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে গেছেন। তখন বিদ্যুতের লাইনের কাজ করা হবে বলে আশ্বাস দেন ওই কর্মকর্তা।
দো অং প্রু মারমা বলেন, ‘এরপর অনেকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো খবর নেই। একটা বিষয় নিয়ে কত আর যাওয়া যায়? এখন আর যোগাযোগ করি না।’
বিষয়টি ‘খুবই দুঃখজনক’ মন্তব্য করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।’
মহালছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ইরাতোষ চাকমার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিষয়ে আমার কাছে কেউ আসেনি।’ তবে রাঙামাটি বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।’