হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

কারেন্ট জাল কারখানা থেকে নিষিদ্ধ চান জেলেরা

মিসু সাহা নিক্কন, রামগতি (লক্ষ্মীপুর)

সাগর-নদীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায়ই অভিযান চালিয়ে কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। তারপর সেসব পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ সময় কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরার অপরাধে অনেক জেলেকে জেল-জরিমানাও করা হয়। কারেন্ট জালের ব্যবহার বন্ধে প্রশাসনের নানামুখী তৎপরতা থাকলেও এর উৎপাদন বন্ধে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই।

দেশের জলজ পরিবেশ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর কারেন্ট জাল কারখানায় তৈরি হয়ে ঢাকার বাজার হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব জাল কারখানায় উৎপাদনে কেউ তেমন বাধা দেয় না। মাঝেমধ্যে নদী ও খাল-বিলে ব্যবহারের সময় অভিযানে ধরা হয় এসব জাল। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার মাছঘাটে শতাধিক নৌকা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় ৬৫টি নৌকা খুঁজে ৪৩ টিতেই কারেন্ট জাল পাওয়া গেছে।

প্রায় ২০ বছর আগে আইন করে মাছ ধরতে কারেন্ট জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। ইলিশসহ দেশের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে থাকায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই পদক্ষেপ বেশ কাজেও দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে নদীতে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে নদীতে জেলেদের নৌকায় প্রায় সময় অভিযান চালিয়ে কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মৎস্য বিভাগ। মাঝেমধ্যে জরিমানা দেওয়ার পাশাপাশি জেলও খাটে জেলে ও নদীপারের জাল ব্যবসায়ীরা।

কারেন্ট জাল জেলেদের কাছে নিষিদ্ধ মাদকের মতো বলে মনে করেন রামগতি মাছঘাটের রফিক মাঝি। তিনি বলেন, কারেন্ট জাল কারখানায় উৎপাদন হচ্ছে, বাজারে বিক্রি হচ্ছে; তাই জেলেরা নিষিদ্ধ জেনেও কারেন্ট জাল কিনছে। লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনাপারের জেলে ও ব্যবসায়ীরা কারেন্ট জাল কারাখানা থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

নিষিদ্ধ জেনেও জেলেরা কেন এ জাল কিনছে তা জানতে রামগতির বিভিন্ন ঘাটের ১০-১২ জন জেলের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, এ জাল পানিতে দেখা যায় না। তাই এ ধরনের জাল এড়িয়ে চলা মাছের পক্ষে কঠিন। এ জালে ছোট-বড় সব মাছ ধরা পড়ে। সহজে বহনযোগ্য, ওজন কম এবং সুতার জালের তুলনায় প্রতি কেজিতে দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় এ জাল জেলেদের প্রিয়।

টাংকীঘাটের জেলে আবদুল মতিন বলেন, কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হলে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডের আর অভিযান চালাতে হবে না। জেলেরাও বেঁচে যাবে। তাদের জাল-নৌকা রক্ষা পাবে। উৎপাদন না থাকলে জেলেরা অন্য জাল ব্যবহারে উৎসাহী হবে।

আলেকজান্ডার ঘাটের জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে জেলেরা শুধু কারেন্ট জাল ব্যবহার করত। তবে এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়িয়ে চলতে চিকন সুতার জালের সঙ্গে কারেন্ট জাল মিশিয়ে ব্যবহার করে তারা।

জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘নদীতে আমরা অভিযান চালাই। কিন্তু উৎপাদন বন্ধ করতে না পারলে এটা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না।’

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুর ইসলাম বলেন, গত বছরের অক্টোবরে ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য বিভাগ ২৭০টি অভিযান পরিচালনা করে ২৭টি মামলা করে। এ সময় সাড়ে ২৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

বাঁশখালীতে আগুনে ৯ দোকান পুড়ে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি

বিষাক্ত গ্যাস শোধন পদ্ধতি ‘উদ্ভাবন’ খুদে শিক্ষার্থীদের

বেগমগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিরুদ্ধে

চট্টগ্রামে পাহাড়ের জমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প পরিদর্শনে তিন উপদেষ্টা

৩৪ মাস ধরে পরিত্যক্ত ভবনে ইউএনও, রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

টেকনাফের পাহাড়ে আবারও বন্য হাতির মৃত্যু

দুর্নীতিবাজ-খুনিদের সংসদ ও রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত না করার সুপারিশ করা হয়েছে: বদিউল আলম

মাদক কারবারে জড়িত পুলিশের এএসআইসহ ২ জন গ্রেপ্তার

সেকশন