পরনে সবুজ রঙ্গের সালোয়ার কামিজ। নাম তাঁর রবেট। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে ভিনদেশি এই নারীকে দেখে ভিড় করছিলেন অনেকেই। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে এসেছিলেন রবেট। বাংলাদেশের ইতিহাস ভালোভাবে না জানলেও জানার আগ্রহের কমতি নেই তাঁর।
আজ রোববার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে দেখা মেলে রবেটের। নেদারল্যান্ডসের রবেট বাংলাদেশে এসেছেন গবেষণার কাজে। গবেষণার জন্য পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) সঙ্গে কাজ করছেন তিনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে কী জানেন জিজ্ঞেস করলে রবেট বলেন, ‘আমি বেশি কিছু জানি না। আমি জানি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। স্বাধীন হতে তাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।’
স্বাধীনতা দিবসের মতো আয়োজনে অংশ নিতে পেরে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আসতে পেরে খুশি। আমি বাংলাদেশিদের সঙ্গে এমন একটি দিন উদ্যাপন করতে পেরে খুশি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আরও জানতে চাই। সিআরপির সঙ্গে এসেছি এখানে। সবাই এখানে এক সঙ্গে এসেছে। সবাই স্বাধীনতা উদ্যাপন করছে। আমিও এখানে আসতে পেরে খুশি।’
রবেটের সঙ্গে কথা বলছিলেন অনেকেই। যে কারও প্রশ্নের উত্তর হাসিমুখে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন রবেট। মাহিদুল ইসলাম মাহিদ নামে একজন সংবাদকর্মী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অনেক বিদেশি অতিথি স্মৃতিসৌধে আসেন। তারা অনেক প্রটোকলের মধ্যে থাকেন। কিন্তু রবেট এসেছেন নিজে আগ্রহী হয়েই। রবেট ও সবার সঙ্গে কথা বলছে। আমি জেনেছি রবেট বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে অনেক আগ্রহী। রবেট যেভাবে অন্য দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান করছে তা শিক্ষণীয়।’