নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি সাভার (ঢাকা)
শ্রমিকদের দুপক্ষের সংঘর্ষে এক নারী পোশাকশ্রমিক নিহতের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সাভার ও আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে উত্তেজনা দেখা দিলেও আজ বুধবার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সকাল থেকে প্রায় সব কারখানাই খোলা ছিল। শ্রমিকেরাও কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ করেছেন। তবে ২৫ কারখানায় আজ উৎপাদন বন্ধ ছিল। এর মধ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে পাঁচ কারখানায়। আর শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় বন্ধ ২০ কারখানা।
সকালের দিকে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকার জেনারেশন নেক্সট কারখানা শ্রমিকেরা অবস্থান নিয়ে বসেছিলেন। অন্যদিকে পলাশবাড়ী এলাকার পার্ল গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান। এ ছাড়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে লুসাকা গ্রুপ নামে একটি কারখানার সামনেও অবস্থান নিয়ে বসে ছিলেন শ্রমিকেরা।
পুলিশ জানায়, গতকাল শ্রমিক নিহতের ঘটনায় আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে বিজিএমইএ কারখানা কর্তৃপক্ষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উদ্যোগে বিষয়টি সমাধান করা হয়। এরপর আজ সকালে সাভার ও আশুলিয়ার প্রায় সব কারখানা খুলে দেওয়া হয়। শ্রমিকেরা যথাসময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজে যোগ দেন। শ্রমিকেরা কাজ না করায় পাঁচটি কারখানা আজ ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে আরও ২০টি কারখানা।
বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশই তৈরি পোশাক কারখানা। তবে ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতসহ বিভিন্ন ধরনের কিছু প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আশুলিয়ার বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কসহ নরসিংহপুর এলাকায় বিভিন্ন কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, এপিবিএন ও পুলিশ সদস্যদের অবস্থান নিয়ে ছিলেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সড়কে টহল অব্যাহত রেখেছে।
শিল্প পুলিশ-১–এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘আজ ২৫টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় ২০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে রয়েছে।’