শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে নারী পোশাকশ্রমিককে হত্যার পর মরদেহ নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনের নিচে আরসিসি ঢালাই দেওয়ার খবরে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে র্যাব-১। ওই নারীর স্বামী মো. হানিফের দেওয়া তথ্যে অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াইদের চালা এলাকায় আব্দুল লতিফের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের নিচতলার পেছনের অংশে আরসিসি ঢালাই ভাঙার কাজ শুরু করা হয়।
নিহত পোশাক কারখানার শ্রমিক সুমাইয়া (১৯) কিশোরগঞ্জ জেলর ইটনা উপজেলার আমিনগঞ্জ গ্রামের মো. সেলিম মিয়ার মেয়ে। মা-বাবার সঙ্গে কেওয়া গ্রামের জনৈক গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় আউটস্পেস নামক কারখানায় চাকরি করতেন তিনি।
র্যাব জানায়, গত ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে তাঁর মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের নিখোঁজ সংবাদে মামলা দায়ের করেন। মামলায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ গ্রামের হানিফ (৪০) ও শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে মো. জয়নাল আবেদীনের (৩৮) নাম উল্লেখ করে এবং তিন-চারজনের নাম অজ্ঞাত হিসেবে উল্লেখ করেন।
র্যাব সূত্রে আরও জানা যায়, থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্প মামলার তদন্ত শুরু করেন। তদন্তের একপর্যায়ে স্বামী মো. হানিফ এবং অপর আসামি জয়নাল আবেদীনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা। একপর্যায়ে গ্রেপ্তার জয়নাল আবেদীন ও হানিফ সুমাইয়াকে হত্যার পর বেড়াইদেরচালা এলাকায় আব্দুল লতিফের নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনের পেছনে একটি স্টোররুমের নিচে দুই স্তরের আরসিসি ঢালাই করে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানান।
এমন খবরে র্যাব-১ সদস্যরা মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওই বাড়ির ছোট স্টোররুমের মেঝে ভেঙে মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
মরদেহ মাটিচাপা দেওয়ার খবরে আশপাশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উৎসুক জনতা ভিড় করছে। এমন অমানবিক নিষ্ঠুরতার খবরে বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে পোড়াবাড়ি র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার জুন্নুরাইন বিন আলম বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
শ্রীপুর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, আসামির দেখানোমতো স্থানে মরদেহ উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।