নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর পল্লবীতে প্রকাশ্যে সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম এই তারিখ ধার্য করেন। আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম সারওয়ার খান জাকির আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত বছর ১৩ নভেম্বর বাদীর নারাজির আবেদন গ্রহণ করে পুনরায় পুলিশের অপরাধ গোয়েন্দা বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বাদীর নারাজি আবেদন গ্রহণ করে একই বছর ১২ মে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্ত করে আরও একজনকে অন্তর্ভুক্ত করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর। এরপর আবার নারাজি আবেদন করেন বাদী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন যাদেরকে আসামি করেছেন তারা হলেন এম এ আউয়াল, সুমন ব্যাপারী, টিটু, কিবরিয়া, মুরাদ হোসেন, আবু তাহের, ইব্রাহিম সুমন, রকি তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ, তারিকুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাসান ও ইকবাল হোসেন।
পরে পিবিআই তদন্ত করে সজীব নামে আরেক আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২১ সালের ১৬ মে বিকেলে জমির বিরোধের মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দীনকে পল্লবী থানার ডি-ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে এ হত্যাকাণ্ডের সময় সাহিনুদ্দিনের ছেলে উপস্থিত ছিল।
ঘটনায় নিহতের মা আকলিমা বেগম ২০২১ সালের ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।