ঢাবি প্রতিনিধি
পয়লা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একই দিনে পালিত হচ্ছে সারা দেশে। ‘আকাশে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা, কারা যে ডাকিল পিছে বসন্ত এসে গেছে। মধুর অমৃতবাণী, বেলা গেল সহজেই, মরমে উঠিল বাজি, বসন্ত এসে গেছে’—রাজধানীর পথে-প্রান্তরে কানে বেজে আসছে গানের কথাগুলো।
‘এসো মিলি প্রাণের উৎসব’-এ প্রতিপাদ্য সমানে রেখে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বসন্তকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় সকাল ৭টা থেকে নাচে-গানে মেতে উঠেছেন বসন্তপ্রেমীরা।
আবৃত্তিশিল্পী আহসান উল্লাহ তমাল ও নুসরাত ইয়াসমিন রুম্পার সঞ্চালনায় নীপেন সরকারের বাদ্যযন্ত্র ও চতুরঙ্গীতে রাগাশ্রয়ী সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এই উৎসবের শুভসূচনা হয়। বেঙ্গল মিউজিকের শিল্পী লুম্বিনী তালুকদার, অব্যয়, ঋদ্ধি ও স্মরণিকা সাহার দ্রুপত রাগ-বাহারের পরিবেশনায় শুরু হয় উৎসব।
পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে হলুদ পাঞ্জাবি, বাসন্তী শাড়ি পরে, খোঁপায় ফুল দিয়ে পুরো ক্যাম্পাস মুখরিত করে তুলেছেন তরুণ-তরুণীরা। টিএসসি, শহীদ মিনার, হাকিম চত্বর, বটতলা, কার্জন হল, মল চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহবাগ এলাকায় হাতে হাত ধরে হাঁটছেন তাঁরা। আড্ডায় মশগুল বন্ধু-বান্ধবীরা।
ষাটের দশকে ফাল্গুনের প্রথম ছুটির দিনে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছিল ছায়ানট। স্বাধীন বাংলায় প্রথম বসন্ত পালিত হয় ১৯৯৪ সালে। ১৪০১ বঙ্গাব্দের পয়লা ফাল্গুন থেকে জাতীয় বসন্ত উদ্যাপন পরিষদের হাত ধরে প্রতিবছর বকুলতলায় পালিত হয়ে আসছে বসন্তবরণের উৎসব।
বকুলতলার এই অনুষ্ঠানে বসন্তকথন পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি স্থপতি সফিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি কাজল দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট।
দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন সুরঙ্গমা, সাধনা সংস্কৃতি মণ্ডল, স্পন্দন, ধৃতি, স্বপ্ন বিকাশ কলা কেন্দ্র, নৃত্যম, ভাবনা, গৌড়ীয় নৃত্য সারথি ও নৃত্যনন্দন। দলীয় সংগীত পরিবেশন করবেন গীতাঞ্জলি, বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস (ওয়াইজঘাট), সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী ও বহ্নিশিখা।