সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লি ইউনিয়নের পশ্চিম চরতিল্লি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই রাতেই মেয়ের জামাইকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম।
নিহত নারীর নাম হাজেরা বেগম (৫৫)। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ইউনিয়নের পশ্চিম চরতিল্লী গ্রামের মৃত হোসেন মোল্লার মেয়ে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সাগর (৩৮)। তিনি শিবালয় উপজেলার আলী হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চরতিল্লি গ্রামের মো. হোসেন মোল্লার মেয়ে সাবিনা আক্তারের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় মো. সাগর হোসেনের। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর ওপর অমানবিক নির্যাতন করতেন তিনি। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে।
স্ত্রীকে মারধর করার কারণে শাশুড়ি হাজেরা বেগম মেয়েকে তিন মাস তাঁর বাড়িতেই রাখেন। গতকাল শুক্রবার রাতে সাগর শ্বশুরবাড়িতে আসলে তাঁর স্ত্রী সাবিনার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। শাশুড়ি এগিয়ে আসলে তাঁকে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। শাশুড়ি হাজেরা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পাড়লে তাঁর মাথায় আবারও কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করেন। এ সময় মেয়ের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে হাজেরাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় তিনি।
সাটুরিয়া থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়িকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ৬ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হাজেরা বেগমের বড় মেয়ে সাথী আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।