গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। তাতে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিক আন্দোলনের কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানাটি বন্ধ করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে জরুন এলাকার কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা নভেম্বরের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করছেন। আজ সোমবার সকালেও কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার সামনে মহানগরীর কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তবে বন্ধের নোটিশ পেয়ে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোনাবাড়ী ফ্লাইওভারের পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। তাতে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে আজ দুপুরে কারখানা বন্ধের নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড (নিট কম্পোজিট ডিভিশন, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন) ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের (জরুন, কোনাবাড়ী, গাজীপুর) সকল শ্রমিক ও কর্মকর্তাকে জানানো হচ্ছে, গত ২৬ ডিসেম্বর কারখানার অভ্যন্তরে কিছুসংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক অযৌক্তিক ও বেআইনি দাবি নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করেন। শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজে যোগদানের জন্য বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকেরা কাজে যোগদান না করে বেরিয়ে যান এবং কারখানার অন্যান্য ইউনিটের কাজ বন্ধ করে দেন। বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থাকায় কর্তৃপক্ষ কারখানার জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী কারখানার সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘পরবর্তী সময়ে কারখানায় কাজের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিসাপেক্ষে, কারখানা খোলার তারিখ লিখিত নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি শ্রমিকদের সকল বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কাশিমপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব বলেন, ‘আমরা একটি নোটিশ দেখেছি। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি বেতন পরিশোধ করা হবে। শ্রমিকেরা স্বাভাবিকভাবে বেতন চায়। এদিকে মালিক আর্থিক অবস্থার কারণে বেতন দিতে পারছেন না। তিনি কারখানায়ও আসেন না। শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করেছে।’