কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
সড়কে জমে আছে পানি। নির্মাণ সামগ্রী পড়ে আছে পাশেই। এভাবেই পার হয়ে গেছে তিন মাস। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাওর এলাকার মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের আটপাশা গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। এই সড়ক দিয়ে হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, সড়কটি মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ঢাকী ইউপি থেকে গোবিন্দপুর বাজার, গোবিন্দপুর গ্রাম, আটপাশা বাজার এবং আটপাশা গ্রামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। এই সড়কটি হলে তাঁদের আর ঘুরে মিঠামইন বা ইটনা উপজেলায় যেতে হবে না। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন এমএ গনি ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং আটপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য মানুষ চলাচল করে। পানি জমে থাকার কারণে এই রাস্তা দিয়ে শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। এ ছাড়া গোবিন্দপুর এবং আটপাশা হাওরের ধান কৃষকের ঘরে আনতে এই সড়কটি ব্যবহার করতে হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইট, পাথর, সুরকিসহ নানা নির্মাণসামগ্রী পড়ে আছে সড়কে, জমে আছে পানি। কাঁচা সড়কটির একেবারে বেহাল দশা। সড়কে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক্টর, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল চলাচল করছে। ভোগান্তি এড়াতে খরচ বেশি হলেও ৩–৪ কিলোমিটার ঘুরে মিঠামইন বা অন্য কোনো গন্তব্যে যাচ্ছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা।
গ্রামের বাসিন্দা মো. রাসেল ও সোহাগ বলেন, এই এলাকায় হাজার হাজার বসতি। সড়কের কারণে ব্যবসা–বাণিজ্য সব সময় খারাপ যায়। মানুষ চলাচল করতে পারে না। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।
সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার মমিনুল হক সেলিম বলেন, পানি শুকালেই কাজ শুরু করবেন। পানির কারণে কাজ করতে পারছেন না।
কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের (এলজিডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যেই ঠিকাদার পর্যাপ্ত মালামাল মজুত করেছে। রাস্তায় ৬-৭ ইঞ্চি পানি থাকায় কাজ শুরু করা যায়নি। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তা থেকে পানি সরে যাবে। পানি সরে যাওয়ার পর ঠিকাদার কাজ শুরু করবে। কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। কাজ শেষ হলেই চূড়ান্ত বিল প্রদান করা হবে।