প্রতিনিধি, মেহেরপুর
পর্যাপ্ত রাজস্ব আয় হওয়ার পরও সাত জন ইউপি কাউন্সিলরকে দুই বছর ধরে কোনো সম্মানী ভাতা দেননি ইউপি চেয়ারম্যান। অন্যদিকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাজস্ব আয়ের টাকা আত্মসাৎ করছেন। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামুন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের এমন কর্মকাণ্ডের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কাউন্সিলরগণ।
কাউন্সিলরগণ অভিযোগপত্রে বলেন, বামুন্দী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জেলার সব চাইতে বড় পশুহাট ইজারা দিয়ে বছরে ২০ লাখ টাকা রাজস্ব পান। এ ছাড়া একাধিক হাট বাজার রয়েছে। যেগুলো ইজারা দিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেন। এর বাইরে ট্রেড লাইসেন্স, দোকান ঘর ভাড়া, অটো ভ্যান রিকশা, গাড়ির লাইসেন্স নবায়ন ফি, কয়েকটি কারখানার বাৎসরিক কর সহ বাড়ির ট্যাক্স ফি মিলিয়ে আরও ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়। সব মিলিয়ে ন্যূনতম এক কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের এই ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব আয় অর্থ কম দেখিয়ে সেই টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করছে। অপরদিকে রাজস্ব আয় নেই অজুহাতে ইউনিয়নের ৭ কাউন্সিলরকে ২ বছর কোনো সন্মানীভাতা দেওয়া হয়নি। ভাতা চাইতে গেলে চেয়ারম্যান রাজস্ব আয় নেই ভাতা দেয়া সম্ভব না বলে সাফ জবাব দেন।
মঙ্গলবার গাংনী বামুন্দী ইউপি সদস্য মিলন হোসেন জানান-তারা বিষয়টি প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম জানান, বামুন্দী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ কাউন্সিলর ২ বছর সম্মানীভাতা পাননি বিষয়টি আমি জানি। কাউন্সিলরবৃন্দ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করে চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিচার ও তাদের সম্মানীভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সঙ্গে বসে এবং তদন্ত করে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করব।
এই অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।