গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রেমঘটিত ব্যাপার নিয়ে বাবা রাগান্বিত হয়ে ছেলে মুর্শিদকে মারধর করেন। এরপর ছেলে বিষপান করে বন্ধুদের ফোন দিয়ে জানান বিষপানের কথা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বাঁচতে পারেনি মুর্শিদ। আজ শনিবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় মুর্শিদ।
নিহত মুর্শিদ নাটোরের গুরুদাসপুরের মশিন্দা ইউনিয়নের পূর্ব মাঝপাড়া গ্রামের মো. ফজলু হকের ছেলে। সে মশিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুর্শিদ ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া একটি মেয়েকে ভালোবাসত। মেয়েটিকে নানা ভাবে সে বিরক্তও করত। পরে মেয়ের বাবা এবং চাচা মুর্শিদের বাবার কাছে নালিশ করেন।
পরে মুর্শিদের বাবা ফজলু রাগান্বিত হয়ে তাঁকে গালমন্দ করে চর থাপ্পড় দেয়। এতে মুর্শিদ মনে কষ্ট নিয়ে দোকান থেকে বিষ কিনে মশিন্দা ইউনিয়নের বনপাড়া হাটিকুমরুল ৯ নম্বর ব্রিজে গিয়ে খেয়ে ফেলে। পরে বন্ধুদের ফোন করে বিষপানের কথা জানায়। তাঁর বন্ধুরা সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সে মারা যায়।
রাজশাহী মেডিকেলের চিকিৎসক আবু সালেহির বরাত দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুর্শিদের চাচা বজলু।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. মতিন মিয়া বলেন, আমাকে রাজশাহী থেকে ফোন করে জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করে নাই।