নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মতিয়ার রহমান বলেন, গ্রেপ্তারের পর জাকির হোসেন অমিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। ডিবির কাছে তদন্তাধীন নগরের বোয়ালিয়া থানার একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ডিবি তাঁকে আদালতে তুলবে বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রেপ্তার জাকির হোসেন অমির গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি মহানগরীর ছোট বনগ্রাম এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। মাদকাসক্ত ও টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার অভিযোগে ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর তাঁকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
১৬ জানুয়ারি রাতে অমিকে তাঁর বাসার সামনে থেকে অপহরণ করা হয়। পরে র্যাব ও পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। এ সময় আব্দুর রশিদ (৫০) ও তাঁর গাড়িচালক মীম ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন অমির বাবা আমির হোসেন।
অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠ। তাঁর সঙ্গে জমির ব্যবসা করেন অমি। জমি ও প্লট বিক্রির টাকার লেনদেন–সংক্রান্ত বিরোধ থেকে অমিকে তুলে নিয়ে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন রশিদ। এ ঘটনা জানাজানি হলে নতুন করে আলোচনায় আসেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।