অনলাইন ডেস্ক
চলতি মৌসুমে ১০ লাখ টন চিনি রপ্তানির অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিশ্চিত করতে এবং উদ্বৃত্ত চিনি কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদক দেশটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ বিষয়ে শিগগির ভারত সরকার একটি আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা জারি করবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারত রপ্তানির অনুমোদন দিলে বিশ্ববাজারে চিনির দাম আরও কমতে পারে।
তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভারতের কিছু ব্যবসায়ীর কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে। কারণ, বিগত আট বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশের চিনি উৎপাদন চাহিদার চেয়ে কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও সরকারের এমন সিদ্ধান্ত সত্যিই বিস্ময়কর বলে মনে করছেন তাঁরা।
মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ—এই তিনটি রাজ্য মিলিতভাবে ভারতের মোট চিনির ৮০ শতাংশের বেশি উৎপাদন করে। কিন্তু এসব অঞ্চলে আখের ফলন কম হওয়ায় চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে উৎপাদন কমার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ভারতের বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মতে, এই মৌসুমে চিনির উৎপাদন ২ কোটি ৭০ লাখ টনে নেমে আসতে পারে, যা গত বছরের ৩ কোটি ২০ লাখ টনের তুলনায় অনেক কম এবং বার্ষিক চাহিদা ২ কোটি ৯০ লাখ টনের নিচে।
২০২২-২৩ পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি রপ্তানিকারকের তকমা ধরে রেখেছিল। এই সময়ে বার্ষিক গড় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৮ লাখ টন। তবে ২০২৩-২৪ বিপণন বছরে চিনি রপ্তানি নিষিদ্ধ ছিল।
ভারতের প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
স্থানীয় বাজারে চিনির দাম দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকায় কারখানাগুলো চাপের মুখে রয়েছে। কিন্তু রপ্তানির অনুমোদন ভারতের চিনিকলগুলোর জন্য স্বস্তির খবর। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেশি থাকায় এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বাজার পর্যবেক্ষকেরা।
ইন্ডিয়ান সুগার অ্যান্ড বায়ো-এনার্জি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক দীপক বালানি বলেন, পরবর্তী মৌসুমে উৎপাদন বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে ১০ লাখ টন চিনি রপ্তানির অনুমোদন এই শিল্পের জন্য ভালো খবর।