গাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে রাস্তা দখল করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার উপজেলা মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের একটি রাস্তায় এ প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, প্রভাব খাটিয়ে রাস্তাটি দখল করেছে একটি পক্ষ। অর্ধশত বছরের পুরোনো রাস্তাটিতে হঠাৎ প্রাচীর নির্মাণ করা হলে ভোগান্তিতে পড়বে হাজারো মানুষ। পথটি দিয়ে অন্তত ২০০ পরিবারের লোক চলাচল করে।
গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, চকপাড়া গ্রামের সলিংমোড় গাজীপুর আঞ্চলিক সড়কের এনাম হ্যাচারি থেকে চকপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোড় অভিমুখে রাস্তার প্রবেশমুখে রাস্তা কেটে বেস ঢালাইয়ের কাজ চলছে। রাস্তার মাঝখানে বড় বড় পাঁচটি গর্ত করা হয়েছে। পাশেই রয়েছে রড বাঁধাই করা। বেস ঢালাইয়ের জন্য সিমেন্ট, পাথর ও বালুর কাজ করছেন কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, চকপাড়া গ্রামের মামুন মিয়া এক্সিলেন্ট সিরামিক নামক একটি কারখানার হয়ে রাস্তা জবরদখল করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ করছেন।
চকপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘সকালে রাস্তায় হাঁটতে এসে দেখি রাস্তা খননের কাজ চলছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেও সঠিক উত্তর পাইনি। কী করব, যারা রাস্তা কেটে দেয়াল করতে পারে, তারা নিশ্চয়ই ক্ষমতাসীন। আমরা শুধু মুখে বলতে পারি, বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নেই।’
একই গ্রামের ভুক্তভোগী জিহাদ উল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘ বছরের রাস্তা হঠাৎ করে কেটে ফেলা হচ্ছে। এটা কী ধরনের বিষয়। এই রাস্তা ধরে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। কয়েকটি কারখানার শ্রমিক এই রাস্তা ব্যবহার করে। রাস্তা বন্ধ হলে খুবই ভোগান্তি হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরস্পর শুনতে পাচ্ছি, জমি কিনে রাস্তা নিতে হবে। তা নাহলে বন্ধ করে দিবে।’ স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘রাস্তায় এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা কিছুদিন থেকেই পরিলক্ষিত হচ্ছে এই এলাকায়। এটাও এক ধরনের অদৃশ্যমান চাঁদাবাজি।’
সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজে যুক্ত মামুন মিয়া বলেন, ‘যে জায়গায় সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটি ব্যক্তিমালিকানার জমি। একটি কোম্পানি সেই জমি ক্রয় করেছে। তবুও মানুষ চলাচলের জন্য ৮ ফুট জায়গা ছেড়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে।’
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার নজরে আসার পরপরই উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সব ধরনের আইনগত
পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করার কোনো সুযোগ নেই।’