অনলাইন ডেস্ক
এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন আসামিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০১২ সালে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ওই আসামিদের ফাঁসির দণ্ড দিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্ট। কিন্তু সোমবার (৭ নভেম্বর) তাঁদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের আলোচিত নির্ভয়া ধর্ষণের ঘটনার কয়েক মাস আগে হরিয়ানা রাজ্যের রেবারি জেলায় ওই ঘটনা ঘটে। দিল্লি হাইকোর্ট অভিযুক্তদের ‘ভয়ংকর শিকারি, যারা রাস্তা রাস্তায় শিকার খুঁজে বেড়ায়’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিযুক্তরা ওই তরুণীকে অপহরণের পর ধষর্ণ করেন। এর কয়েক দিন পর ক্ষতবিক্ষত ও আধপোড়া মরদেহ পাওয়া যায়। শরীরে ক্ষত দেখে বোঝা যায়, গাড়ি মেরামতের যন্ত্রপাতি এবং মাটির পাত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল তাঁকে।
এ ঘটনায় দিল্লির নাজাফগড়ে মামলা হয়। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ওই তরুণীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। পরে রেবারির একটি মাঠে তাঁর মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে রবি কুমার, রাহুল ও বিনোদ নামে তিনজনকে একাধিক ধারায় অভিযুক্ত করা হয়। আদালত তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেন।
একই বছর দিল্লি হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত তাঁদের ‘ভয়ঙ্কর শিকারি, যারা রাস্তা রাস্তায় শিকার খুঁজে বেড়ায়’ বলে অভিহিত করেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে বিবাদীর আইনজীবীরা আপিল করে তাঁদের বয়স, পারিবারিক ঐতিহ্য এবং পূর্বের অপরাধের রেকর্ড বিবেচনায় শাস্তি কমানোর আবেদন করেন।
এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এর আগে আদালত প্রাঙ্গণেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছিল ভুক্তভোগীর পরিবার।