চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
দুই বছর আগে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাদের মধ্যে প্রেম হয়। কিন্তু কিছুদিন আগে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বেশ কয়েক দিন ধরে কিশোরকে ফোন করে যাচ্ছিল কিশোরী। কিন্তু সাড়া মিলছিল না। রাগে-ক্ষোভে গতকাল সোমবার বিকেলে কিশোরের বাড়ির সামনে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিশোরী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে।
ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলিয়ারপুর গ্রামে। দশম শ্রেণিতে পড়া ওই কিশোরের বয়স ১৬ বছর, আর কিশোরীর ১৫ বছর।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
ওসি মহসীন বলেন, সদর উপজেলার আলিয়ারপুর গ্রামের এক কৃষকের ছেলে ও পার্শ্ববর্তী দশমী গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়ে একই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। দুই বছর আগে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন আগে সম্পর্কের অবনতি হয়। বেশ কয়েক দিন থেকে ওই কিশোরকে ফোন করে কোনো সাড়া পাচ্ছিল না কিশোরী। শেষ পর্যন্ত সোমবার বিকেল ৫টার দিকে এক শিশি কীটনাশক নিয়ে কিশোরের বাড়ির সামনে যায় সে। কিশোরকে বাইরে থেকে ডাকতে থাকে। একপর্যায়ে সে বাড়ির বাইরে এলে তার সামনেই বিষপান করে সে।
তাৎক্ষণিকভাবে কিশোরীকে দশমী গ্রামের বাজারে পল্লি চিকিৎসকের কাছে নেয় ওই কিশোর ও তার মা। কিশোরী কিছুটা সুস্থ হলে রাতেই দুজনের পরিবার বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে এবং বিয়ের আয়োজন করা হয়। একপর্যায়ে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
এদিকে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে কিশোর ও কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ। আজ দুপুরে থানায় উভয়ের পরিবারের লোকজনকে ডাকা হয়। তাদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, এই দুই কিশোর-কিশোরীকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন উভয় পক্ষের অভিভাবকেরা। মেয়েটির বাবা দিনমজুর হওয়ায় তার লেখাপড়ার দায়িত্বও নিয়েছেন ওসি।