মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। প্রায় পুরো সময় তাঁকে ঘিরে ছিল নিয়োগ বিতর্ক, যার ব্যতিক্রম হয়নি শেষ কর্মদিবসেও। মেয়াদের শেষ দিনে তিনি অন্তত ৩০ জন কর্মচারীকে অস্থায়ী নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগকে অবৈধ বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য।
তাঁরা বলছেন, গত মঙ্গলবার নতুন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. আবু তাহেরকে নিয়োগ দেওয়ার পর অধ্যাপক শিরীণ আখতার কর্মচারী নিয়োগে তৎপর হয়ে ওঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, হল ও দপ্তরে অন্তত ৩০ জনকে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে অস্থায়ী নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সেলের প্রধান সৈয়দ মনোয়ার আলী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ২০ থেকে ২৫ জনকে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সবার নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়নি। তাদের কর্মস্থল হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারের এসব অবৈধ নিয়োগ বন্ধ করতে সিন্ডিকেটের ৫৪৫তম সভায় একটি কমিটি গঠন করেছিলাম। কমিটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান জনবল এবং সরকার অনুমোদিত জনবল কত তা জানার পর স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যথাযথ সিলেকশন বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সিন্ডিকেটে বলা হয়েছে। ব্যক্তিগত খেয়ালখুশিমতো নিয়োগ দেশের প্রচলিত আইন ও মানবিকতা কোনোদিক থেকেই গ্রহণযোগ্য নয়। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের ওই তারিখ থেকে সব নিয়োগই অবৈধ। এগুলো বাতিলে আমরা সিন্ডিকেটে জোরালো ভূমিকা রাখব।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদকে মোবাইল ফোনে কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।
নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের সরাসরি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সত্য হয়ে থাকলে আমি যোগদান করার পর দেখব।’
আরও খবর পড়ুন: