মো. আশিকুর রহমান
ক্যাডেট কলেজগুলো বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বর্তমানে দেশে ছেলেদের ৯টি এবং মেয়েদের ৩টি মিলিয়ে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ক্যাডেট কলেজগুলোর বৈশিষ্ট্যের মধ্যে লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং অতিরিক্ত শিক্ষা কার্যক্রম বিশেষ গুরুত্ব পায়। প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ এবং নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ ক্যাডেটদের আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্বশীল ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
ক্যাডেট কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষা এখন মাত্র কয়েক দিনের দূরত্বে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি আপনাকে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং ভুল কমাতে সাহায্য করবে। আগামী ৪ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠেয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের শেষ মুহূর্তের কিছু কার্যকরী পরামর্শ তুলে ধরা হলো:
পুনরাবৃত্তির ওপর জোর দিন
ইতিমধ্যে পড়া বিষয়গুলো ভালোভাবে ঝালাই করুন। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা না করে যা জানেন তার পুনরাবৃত্তি করুন। প্রতিটি বিষয়ের মূল ধারণা এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বারবার চর্চা করুন।
প্রশ্নপত্রের ধরন বুঝুন
পূর্ববর্তী প্রশ্নপত্র এবং মডেল টেস্ট সমাধান করুন। সময় বেঁধে পরীক্ষার অনুশীলন করুন। এটি সময় ব্যবস্থাপনা এবং চাপ মোকাবিলার দক্ষতা বাড়াবে।
সৃজনশীল উত্তর লেখার চর্চা করুন
বাংলা ও ইংরেজি রচনা, সংক্ষিপ্ত উত্তর এবং সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য সংগঠিত ও পরিষ্কার উত্তর লেখার অভ্যাস করুন। শুদ্ধ বানান ও ব্যাকরণ নিশ্চিত করুন।
গণিতের দ্রুত সমাধানের কৌশল
গণিতের ক্ষেত্রে শর্টকাট পদ্ধতি ও সূত্রগুলো ভালোভাবে ঝালাই করুন। বহুল চর্চিত প্রশ্নের ধরনগুলোর ওপর ফোকাস করুন।
সাধারণ জ্ঞান ঝালাই করুন
সাম্প্রতিক ঘটনা এবং সাধারণ জ্ঞানের বিষয়গুলো সংক্ষেপে পড়ে নিন। এটি মৌখিক পরীক্ষার জন্যও সহায়ক হবে।
মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখুন
পরীক্ষার আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। অতিরিক্ত পড়াশোনার কারণে মানসিক চাপ নেবেন না। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রস্তুত করুন
কলম, পেনসিল, রাবার এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী আগে থেকে গুছিয়ে রাখুন। পরীক্ষার কেন্দ্রের ঠিকানা ও সময় ভালোভাবে জেনে নিন।
আত্মবিশ্বাসী থাকুন
নিজের প্রতি আস্থা রাখুন। কঠোর পরিশ্রমের ফল অবশ্যই ভালো হবে। ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখুন এবং ঠান্ডা মাথায় উত্তর দিন।
ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য নিয়মিত অনুশীলন, মানসিক স্থিরতা এবং ধৈর্যের কোনো বিকল্প নেই। ভবিষ্যতের সুনাগরিক এবং যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে ওঠার প্রথম ধাপটি যেন আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতার সঙ্গে শুরু হয়।