অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে দেওয়া লকডাউন আর বৈশ্বিক মন্দার শঙ্কায় বড় ধাক্কার মুখে পড়েছে চীনের অর্থনীতি। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনও (জিডিপি) কমেছে। চলতি বছরের সর্বশেষ তিন মাসের অর্থনীতির হিসেবে এমন তথ্য এসেছে। আগের তিন মাসের চেয়ে এপ্রিল-জুনে জিডিপি কমেছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। জুন মাসে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার রেকর্ড ১৯ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পরে ওই বছরের প্রথম তিন মাসে চীনের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিল। এই সময়টুকু বাদ দিলে ১৯৯২ সালের পর গত ৩০ বছরে এই প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির জিডিপির প্রবৃদ্ধি এত খারাপ অবস্থায় পৌঁছাল।
জরিপের ভিত্তিতে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছিল ১ শতাংশ। তবে সম্ভাবনা সত্যি হয়নি। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে এই প্রবৃদ্ধি মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ।
‘শূন্য কোভিড নীতি’র আওতায় চীনে কঠোর বিধিনিষেধ চলছিল। দেশটির অর্থনীতির কেন্দ্র সাংহাইও এর আওতায় আসে। এমন পরিস্থিতিতে খারাপের দিকে যেতে থাকে অর্থনৈতিক অবস্থা। এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক মন্দার ভয়, সরবরাহ চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও সুদের হার বেড়ে যাওয়ার ঘটনাও দেশটির অর্থনীতিতে খারাপ প্রভাব ফেলেছে।
তবে সম্প্রতি লকডাউন তুলে নেওয়ায় চীনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আবার ভালো হতে পারে বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ টমি উ। এ বছর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৫ নির্ধারণ করেছে চীন। তবে দেশটি এই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারবে কি না সেটি নিয়ে সন্দিহান অর্থনীতিবিদরা।