অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার সংবেদনশীল জলপথ দিয়ে মঙ্গলবার একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ যাতায়াত করেছে। এতে এই অঞ্চলের বৃহত্তম সুরক্ষা 'ঝুঁকি সৃষ্টি' হয়েছে উল্লেখ করে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনের এ প্রতিবাদের কারণে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে জি-৭। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন নৌবাহিনীর ৭ম ফ্লিট জানায়, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারেই আর্লেঘ বার্ক-শ্রেণি পরিচালিত মিসাইল ধ্বংসকারী ইউএসএস কার্টিস উইলবার মঙ্গলবার 'রুটিন তাইওয়ান স্ট্রেইট ট্রানজিট' ব্যবহার করেছে। তাইওয়ানের জলপথ দিয়ে মার্কিন জাহাজ পরিবহন করাকে মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের পরিচায়ক বলেও উল্লেখ করা হয়।
জাহাজটি চলাকালে পুরো সময়ে একে নজরদারির আওতায় রেখে সতর্ক অবস্থানে ছিল চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড। কমান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, 'মার্কিন দল ইচ্ছাকৃতভাবে পুরোনো কৌশলে খেলছে এবং তাইওয়ান উপকূলের সমস্যা তৈরি করছে। স্পষ্টভাবেই দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক সুরক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকির স্রষ্টা। এক মাস আগেও এই জাহাজটি এই পথ দিয়ে চলেছে। একে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে মনে করে চীন। তাই আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে চলাচলের বিরোধিতা করছি।'
অন্যদিকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, জাহাজটি উত্তরাঞ্চলের মধ্য দিয়ে উত্তর দিকে চলে গেছে এবং এ সময় 'পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল'। তবে যুদ্ধবিমান এবং পারমাণবিক-ক্ষমতাসম্পন্ন বোমারু বিমানসহ চীনা বিমানবাহিনীর ২৮ জন তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে (এডিআইজেড) প্রবেশের অভিযোগ তোলে তাইওয়ান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই এ সর্বশেষ মিশনটি এসেছে।
চীনের নিন্দার প্রতিবাদে গ্রুপ অফ সেভেনের নেতারা একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে একাধিক ইস্যুতে চীনকে তিরস্কার করে। এ বিবৃতিতে তাইওয়ান সমুদ্রসীমা জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বকে তুলে ধরে চীনকে 'অপবাদ' বলে উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী প্রতি মাসে তাইওয়ান স্ট্রাইটে এ জাতীয় অভিযান পরিচালনা করে আসছে। আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থক এবং একটি অস্ত্র বিক্রয়কারী। অন্যদিকে গত এক বছরে তাইওয়ান ও বেইজিংয়ের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বেড়েছে। তাইওয়ানের অভিযোগ, চীন বারবার তার বিমানবাহিনীকে তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে পাঠাচ্ছে।