অনলাইন ডেস্ক
হংকং লেজিসলেটিভ কাউন্সিল নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফলাফলই পেল বেইজিং। বেইজিং ঘোষিত ‘দেশপ্রেমিক’ প্রার্থীরাই বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। যদিও ১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের হাত থেকে বেইজিং হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পর স্বায়ত্তশাসিত এ নগরে কাউন্সিল নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে গতকাল।
স্থানীয় সংবাদপত্র এইচকে ০১-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯০টি আসনের মধ্যে ৮২ টিতেই জিতেছে বিদ্যমান ব্যবস্থার সমর্থক এবং বেইজিংপন্থীরা। মাত্র একজন প্রার্থী ছিলেন এই বলয়ের বাইরে। আর বাকিদের রাজনৈতিক পরিচয় অজ্ঞাত।
বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করার সব আয়োজনের পর প্রথমবারের মতো হংকংয়ের লেজিসলেটিভ কাউন্সিল নির্বাচন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
গত মার্চে হংকংয়ের সংশোধিত নির্বাচন-সংক্রান্ত বিধিবিধানে বলা হয়, শুধু ‘দেশপ্রেমিক’ ব্যক্তিরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনটি হলো-জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত আইন প্রণেতার অনুপাত কমিয়ে আনা হয়েছে। আগে ৫০ শতাংশ প্রতিনিধি সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতেন। সেটি এখন কমিয়ে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এর সপক্ষে যুক্তি হিসেবে কর্মকর্তারা বলছেন, এই মুহূর্তে হংকংয়ে স্থিতিশীলতাকেই তাঁরা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এতে হংকংয়ের গণতন্ত্রকে আরও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে।
আজ সোমবার বেইজিং এক বিবৃতিতে এটিকে ‘হংকং ধরনের গণতন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছে।
হংকং নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই চীন একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে পরিবর্তন আনার পর হংকং এখন স্থিতিশীলতার নতুন পর্বে প্রবেশ করছে।