অনলাইন ডেস্ক
তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির কারণে মার্কিন সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে চীন। তাইওয়ানে সর্বশেষ অস্ত্র বিক্রির প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আজ রোববার জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের কাছে মার্কিন অস্ত্র বিক্রিকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে ঘন ঘন উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে তাদের ঐতিহাসিক ভূখণ্ড বলে দাবি করে। তবে তাইওয়ান সরকার তাদের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ধরনের আপস করতে নারাজ।
আগামী ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে এমন নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে চীন। এ নির্বাচনকে চীন যুদ্ধ ও শান্তির মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ বলে প্রচার করছে।
তাইওয়ানের কৌশলগত তথ্যব্যবস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মাসে ৩০ কোটি ডলারের সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, তাইওয়ানের কাছে সাম্প্রতিক অস্ত্র বিক্রি চীনের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে গুরুতরভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এ ছাড়া এটি তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করেছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া কোম্পানিগুলো হলো—বিএই সিস্টেমস ল্যান্ড অ্যান্ড আর্মামেন্টস, অ্যালিয়ান্ট টেকসিস্টেমস অপারেশনস, অ্যারোভায়রনমেন্ট, ভায়াস্যাট এবং ডেটা লিংক সলিউশনস।
মুখপাত্র আরও বলেন, চীনে এসব কোম্পানির সম্পত্তি জব্দ করবে বেইজিং এবং চীনের ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোকে এদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেবে।
এ বিষয়ে বেইজিংয়ে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।