নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: করোনাভাইরাস মানুষের সৃষ্টি নাকি প্রাকৃতিকভাবেই এসেছে? এই দুই মতে বিভক্ত এখন পুরো পৃথিবী। সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়– করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগেই ২০১৯ সালের নভেম্বরে চীনের উহান ল্যাবের তিন বিজ্ঞানী করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন! তাই ধারণা করা হচ্ছে– চীনের উহান ল্যাব থেকেই করোনার প্রথম সংক্রমণ শুরু হয়েছে।
এবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে– ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরেই সু নামে আরেক জন করোনার উপসর্গ নিয়ে উহানের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দাবি করা হচ্ছে, তিনিই হচ্ছেন করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগী। চীনা মেডিকেল জার্নাল ‘হেলথ টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উহান ইউনিভার্সিটির বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স–এর অধ্যাপক ইয়ু চুয়াংহুয়া এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল। চুয়াংহুয়া জানিয়েছেন, রহস্যময় উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া সেই রোগী শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই মারা গিয়েছিলেন।
ডেইলি মেইল জানায়, উহানের রঙ্গিউন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সু নামের সেই পেশেন্ট। কিন্তু তাঁকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়নি। হাসপাতালের রেকর্ড থেকে জানা যায়– বাদুড় নিয়ে গবেষণা করা উহানের একটি ল্যাবরেটরির খুব কাছেই ঝুদাওকুয়ান স্ট্রিটে বসবাস করতেন সেই নারী। একটি উচ্চ গতি সম্পন্ন রেল লাইনের পাশেই ছিল তার বাড়ি।
প্রতিবেদনে বলা হয়– অধ্যাপক চুয়াংহুয়া সাক্ষাৎকার প্রদানের দুই দিনের মধ্যেই সাংবাদিকদের ডেকে দাবি করেন, তারিখগুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আরও বলেন, ৮ ডিসেম্বরের আগের সন্দেহভাজন রোগীদের সব রেকর্ড আবারও নতুন করে পর্যালোচনা করা উচিত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে প্রথমবারের মত উহানে একটি ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে অবহিত করেছিল। চীনা কর্তৃপক্ষের নথি অনুযায়ী– উহান শহরে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ৪১ জন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছিল। তবে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য মতে, ২০১৯ সালের নভেম্বরে উহান ল্যাবের তিন গবেষক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা মার্কিন গোয়েন্দাদের এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিআইএ–সহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ৯০ দিনের মধ্যে করোনার প্রকৃত উৎস সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।