অনলাইন ডেস্ক
চীনের গুয়াংজি প্রদেশে ১৩২ জন আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের পর কাউকে জীবিত পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার চীনা বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এমনটি জানায়। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
চীনা বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে জীবিত পাওয়া যায়নি।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের পর এই প্রথম কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য জানাল।
চীনের দক্ষিণে গুয়াংজি প্রদেশের পার্বত্য এলাকায় ঘন বনাঞ্চলে গতকাল সোমবার চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমইউ-৫৭৩৫ বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়। চীনা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। এখন পর্যন্ত উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের সঠিক কারণ জানা যায়নি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানায়, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি পাহাড়ের ঢালে বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায় এবং বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কয়েক শ উদ্ধারকর্মী অভিযান চালালেও দুর্গম বনাঞ্চলের মধ্যে ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। উড়োজাহাজের ভাঙা অংশ, কাপড়ের টুকরোসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বড় এলাকাজুড়ে।
চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই পরিস্থিতিকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছে, ‘সম্ভবত আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই। উড়োজাহাজটি চীনের কুনমিং থেকে গুয়াংজু যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।’
চীনে এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা এটি। এর আগে ২০১০ সালে হেনান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে ৯৬ আরোহীর মধ্যে ৪৪ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।