অনলাইন ডেস্ক
তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। এই মহড়া আগামী ৭ আগস্ট বিকেল পর্যন্ত চলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর এই ঘোষণা দিল চীন। এই মহড়ার মাধ্যমে কার্যত তাইওয়ানকে আকাশ এবং জলপথে অবরুদ্ধ করে রেখেছে চীন।
হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেলোসির তাইওয়ান সফরের কড়া জবাব হিসেবে তাইওয়ানের চারপাশেই একাধিক অবস্থানে সরাসরি সামরিক মহড়া চালাবে চীন।
চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত ট্যাবলয়েড সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে—স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ন্যান্সি পেলোসি তাইপে বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরপরই চীনের সশস্ত্র বাহিনী অনির্ধারিত মহড়া শুরু করে। গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই মহড়া চলবে ৬ দিন। শুরুতে এই মহড়ায় চীনা জে–২০ যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালিতে মহড়া দেয়। এ ছাড়া, চীন বিভিন্ন ধরনের প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও চালায়।
এদিকে, তাইওয়ান চীনের এমন মহড়াকে সরাসরি জাতিসংঘের নিয়ম ভঙ্গ বলে উল্লেখ করেছে। দেশটি বলেছে, তাদের আকাশ এবং জলসীমা অবরোধ করার মাধ্যমে চীন জাতিসংঘের নিয়ম ভঙ্গ করেছে। দেশটি আরও জানিয়েছে, তাঁরা চীনের এই পদক্ষেপের উপযুক্ত জবাব দেবে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইটে বলেছে, ‘পিপলস রিপাবলিক অব চায়না তাইওয়ানের চারদিকে সরাসরি সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিচ্ছে। এর মানে হলো, তাঁরা স্বপ্রণোদিত হয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ের পরিবর্তে বল প্রয়োগের মাধ্যমে উত্তেজনা বাড়াতে চায়। আমাদের চারপাশের এসব কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং তাঁরা অবশ্যই আমাদের পক্ষ থেকে উপযুক্ত জবাবই পাবে।’