অনলাইন ডেস্ক
চীনের সামরিক বাহিনী বলেছে, তাঁরা তাইওয়ানের আশপাশে যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়েই সামরিক মহড়া চালাবে। তাইওয়ানের আশপাশের আকাশসীমা ও সমুদ্রসীমায় এই মহড়া চালানো হবে। বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনের সামরিক বাহিনী বলেছে, ওয়াশিংটন–তাইপের ‘গোপন অশুভ আঁতাতে’র জবাব দেওয়ার জন্য তাইওয়ানের আশপাশে এই মহড়া চালানো খুবই প্রয়োজনীয় ছিল। চীন সব সময়ই তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু বিগত দুই বছর বা তারও বেশি সময় ধরে চীন নিয়মিত তাইওয়ানের আশপাশে সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে। তাইওয়ানকে চীনের দাবি মেনে নিতেই চীনের তরফ থেকে এই চাপ প্রয়োগ করা হয় বলে দাবি বিশ্লেষকদের।
এক বিবৃতিতে চীনা সামরিক বাহিনীর ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই যুদ্ধের প্রস্তুতিসহ তাইওয়ানের আশপাশে মহড়া চালানো হবে। এই মহড়া ওয়াশিংটন–তাইপের ‘গোপন অশুভ আঁতাতে’র জবাব দিতেই আয়োজিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান ইস্যুতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তাঁরা বলছে এক, করছে আরেক। তাঁরা তাইওয়ানের ইন্ডিপেনডেন্স ফোর্সের দিকে সহায়তার কথা বলেছে—যা তাইওয়ানকে আরও বিপদের মুখে ফেলবে।
এদিকে, তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের অংশ বলে স্বীকার করে না। নিকট অতীতেও যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান ইস্যুতে নীরব থাকলেও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে তাইওয়ানের পক্ষে বেশ সরব হয়েছে। বিগত সপ্তাহেই জাপানে অনুষ্ঠিত কোয়াড জোটের সম্মেলনকালে বাইডেন জানিয়েছিলেন, আক্রান্ত হলে তাইওয়ানের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
বাইডেনের এই মন্তব্য চীনকে বেশ রাগিয়ে দিয়েছে বলেই চীন এমন মহড়া চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে।