অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি স্থানীয় সময় বুধবার তাইওয়ান ছেড়ে গেছেন। সংক্ষিপ্ত সফর শেষে তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেছেন এবং তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সংহতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘চীনের ক্রোধ বিশ্বনেতাদের তাইওয়ান সফর থেকে বিরত রাখতে পারে না।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে পেলোসি তাইওয়ান সফর করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। ইতিমধ্যে বেইজিং মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। তাইওয়ান থেকে বেশ কয়েকটি কৃষি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে চীন। এ ছাড়া চীন তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলে সামরিক মহড়া চালাতে শুরু করেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাইওয়ানের ১২ নটিক্যাল মাইল সমুদ্র ও আকাশসীমার মধ্যে চীন পরিকল্পিতভাবে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ।
গতকাল বুধবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইটার পোস্টে বলেছে, ‘২৭টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে।’
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তাইপে বিমানবন্দরে পৌঁছান ন্যান্সি পেলোসি। সেখানে দেশটির নেতৃবৃন্দ তাঁকে স্বাগত জানান। ন্যান্সি পেলোসির সংক্ষিপ্ত তাইওয়ান সফর শেষ হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই চীন এসব কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
পেলোসি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনকে বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিনিধিদল তাইওয়ানে এসেছে দ্ব্যর্থহীনভাবে স্পষ্ট করে দিতে যে আমরা তাইওয়ানকে পরিত্যাগ করব না। এখন তাইওয়ানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আজকে সেই বার্তাই দিতে এসেছি।’
চীনের কঠোর সমালোচক ন্যান্সি পেলোসি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রাজনৈতিক মিত্র হিসেবে পরিচিত। অর্থনৈতিক, সামরিক ও ভূরাজনৈতিক কারণে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব যখন চরমে, তখন তাইওয়ান সফরে গেলেন ন্যান্সি পেলোসি। এর আগে মার্কিন নিম্নকক্ষের স্পিকার হিসেবে সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন নিউট গিংরিচ।
তাইওয়ানকে সব সময়ই নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে চীন। দেশটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগ করতে কখনোই পিছপা হয়নি তারা।
এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ন্যান্সি পেলোসি দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছেন।