হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয়ের প্রয়োজন আছে কি-না, ভাবছে ইউরোপের দেশগুলো

অনলাইন ডেস্ক

আসাদ সরকারের শাসনামলে ২০১১ সাল থেকে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি সিরীয় বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় ৫৪ বছরের আসাদ শাসনামল ফেলে রাশিয়ায় পালিয়েছেন বাশার আল-আসাদ। এমন আকস্মিক পতনের প্রভাব পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা সিরীয় শরণার্থীদের উপর। বিদ্রোহীদের হাতে সরকারের পতন এবং দেশের এমন অস্থির অবস্থায় বিভিন্ন দেশে বাস করা সিরিয়ার নাগরিকেরা পড়েছেন অকূলপাথারে। শরণার্থী হিসেবে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় চেয়েছিলেন অনেক সিরীয়। কিন্তু এখন এসব আবেদন স্থগিত ও বাতিল করছে অনেক দেশ।

আজ মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসাদ সরকারের শাসনামলে ২০১১ সাল থেকে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি সিরীয় বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

যুক্তরাজ্যে ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৩০ হাজারেরও বেশি সিরীয়কে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের বেশির ভাগই সিরিয়া থেকে পালিয়ে তুরস্ক ও লেবাননসহ বেশ কিছু দেশে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখান থেকে মানবিক কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাজ্যে পুনর্বাসিত হন তাঁরা।

যুক্তরাজ্য সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেন, ‘সরকার পতনের পর সিরিয়ার পরিস্থিতি খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। যুক্তরাজ্য থেকে কিছু লোক ইতিমধ্যেই দেশটিতে ফিরে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে স্থগিত রাখা হয়েছে।’

মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে সবচেয়ে বেশি সিরীয় নাগরিক রয়েছেন জার্মানিতে, যাঁদের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৭ লাখ সিরীয়কে শরণার্থী হিসেবে তালিকাবদ্ধ করেছে দেশটি।

জার্মানিতে আশ্রয় আবেদন করে অপেক্ষায় রয়েছেন ৪৭ হাজার ২৭০ জন সিরীয়। তবে এখন সিরীয় শরণার্থীদের অপেক্ষমাণ সব আবেদন স্থগিত রেখেছে জার্মানির ফেডারেল অফিস ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজিস।

কর্মকর্তারা বলছেন, সিরিয়ায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতটাই অনিশ্চিত যে দেশটি নিরাপদ কিনা তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে যাঁরা ইতিমধ্যে জার্মানিতে আশ্রয় পেয়েছেন, তাঁদের ওপর এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে না।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফ্রান্স আশ্রয়প্রার্থী সিরীয় নাগরিকদের আবেদনগুলো নিয়ে ভাবছে।

অন্যদিকে অস্ট্রিয়ার তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিরীয় নাগরিকদের সব আশ্রয় আবেদন স্থগিত করে দিয়েছে। দেশটি সিরীয়দের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার বা বহিষ্কারের পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় প্রায় ৯৫ হাজার সিরীয় নাগরিক আছেন। ২০১৫-১৬ সালের অভিবাসী সংকটের সময় তাঁরা সেখানে যান।

অভিবাসন বিষয়ে কঠোর নীতি অনুসরণকারী অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট দিয়ে জানান, অস্ট্রিয়ায় আশ্রয় নেওয়া সিরীয়দের মধ্যে যাঁরা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়, সরকার তাঁদের পাশে থাকবে। সিরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়।’

এদিকে, দেশে ফিরছেন লেবানন ও জর্ডানে নির্বাসিত হাজার হাজার সিরীয়। আবার সিরিয়া ছেড়ে ওই দুটি দেশে চলে যাচ্ছেন অনেকে। লেবাননে এখন ১০ লাখেরও বেশি সিরীয় শরণার্থী রয়েছে। সেখানে থাকা বিবিসির এক সংবাদদাতা বলেন, লেবাননে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হলেও অনেক সিরীয় নাগরিক দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। আসাদের পতনের পর বিশৃঙ্খলা বা অপরাধ বাড়ার আশঙ্কায় সিরিয়া ত্যাগ করছেন তাঁরা।

যুদ্ধবিরতির পর দুই দিনে গাজায় ঢুকল দেড় হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহের কথা জানালেন হামাস নেতা

মহানবীকে অবমাননার দায়ে ইরানে পপ গায়কের মৃত্যুদণ্ড

ভাইয়ের স্বপ্নপূরণে ডাক্তার হতে চায় ১০ বছরের আমর

লবণাক্ত পানি বিশুদ্ধকরণে শীর্ষে সৌদি আরব, বছরে পরিশোধন ৪২ লাখ ঘনমিটার

গাজা থেকে মুক্তি পেলেন যে ৩ ইসরায়েলি জিম্মি

ইসরায়েলি কারাগারের অন্ধকার ছেড়ে পরিবারের কাছে রাজনীতিবিদসহ ৯০ ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের গাজা: বিদেশে চিকিৎসা ছাড়া গতি নেই তাদের

১৫ মাস পর গাজাবাসীর ভয়হীন, আনন্দময় বিষাদের রাত

যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ধ্বংসস্তূপে পরিণত নিজ গৃহে ফিরছে গাজাবাসী

সেকশন