অনলাইন ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ার মরুভূমিতে সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুঁতে রাখা একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ১৪ জন মাশরুম সংগ্রাহক। গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটেছে বলে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা এসএএনএ বলেছে, রাকা মরুভূমিতে মাশরুম সংগ্রহ করার সময় আইএস সন্ত্রাসীদের রেখে যাওয়া একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ১৪ জন নাগরিক নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে।
এর আগে এক প্রতিবেদনে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়ার মনিটর জানিয়েছিল যে, ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে নারীসহ ১৩ বেসামরিক নিহত হয়েছেন—যারা মাশরুম সংগ্রহ করছিলেন।
বিশ্বের সেরা মানের বেশ কিছু মাশরুম প্রজাতি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত সিরিয়ার মরুভূমি। ১৩ বছর ধরে চলা যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত দেশটিতে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব নিয়ে আসে এসব মাশরুম। তবে মাশরুম সংগ্রহে ঝুঁকি বেশি বলে প্রায়ই সতর্ক করে কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয় এই খাদ্য সংগ্রাহকদের। উত্তর সিরিয়ার বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে খাবার সংগ্রহ করেন তারা। আর সেই এলাকা জিহাদিদের পরিচিত আস্তানা। এলাকাটি ল্যান্ডমাইনে পূর্ণ।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক অভিযানে ২০১৯ সালের মার্চে সিরিয়ায় নিজেদের সর্বশেষ ঘাঁটি হারায় আইএস। তবে জিহাদি গোষ্ঠীর অবশিষ্ট অংশ এখনো লুকিয়ে আছে সিরিয়ার মরুভূমিতে। সেখান থেকেই মারাত্মক আক্রমণ চালায় আইএস।
বেসামরিক নাগরিক, কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনী, সিরিয়ার সরকারি সৈন্য এবং ইরানপন্থী যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালানোর জন্য এ ধরনের আস্তানা ব্যবহার করে এই গোষ্ঠী। পাশাপাশি প্রতিবেশী ইরাকেও হামলা চালিয়েছে আইএস।
২০১১ সালের মার্চে দামেস্কের সরকার বিরোধী বিক্ষোভ নির্মমভাবে দমনের সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়ায় শুরু হওয়া এ যুদ্ধ। এতে পর্যন্ত নিহত হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। লক্ষ লক্ষ মানুষ হয়েছে বাস্তুচ্যুত।