অনলাইন ডেস্ক
গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৯ স্বজনকে হারিয়েছেন কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহামেদ আবু আল-কুমসান। নিহতদের মধ্যে তাঁর বাবা, দুই বোনও রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলাকে ‘গণহত্যা’ ও ‘ক্ষমার অযোগ্য কাজ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে আল জাজিরা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলের জঘন্য ও নির্বিচার বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে আল জাজিরা। এই হামলায় আমাদের এসএনজি ইঞ্জিনিয়ার মোহামেদ আবু আল-কুমসানের পরিবারের ১৯ সদস্য নিহত হয়েছেন।’
আল জাজিরা আরও বলেছে, ‘জাবালিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর এই ক্ষমার অযোগ্য হামলায় মোহামেদের বাবা, দুই বোন, আট ভাগনে এবং ভাতিজি, তার ভাই, তার ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাঁদের চার সন্তান, তার ভগ্নিপতি এবং এক চাচা নিহত হয়েছেন।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা উপত্যকার উত্তরে জাবালিয়া শিবিরের একটি বিশাল এলাকা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত এবং প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকে আছে।
জাবালিয়ায় হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেচট। সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘সেই এলাকায় হামাসের একজন সিনিয়র কমান্ডার লুকিয়ে ছিলেন। আমরা তাঁকে খুঁজছি এবং সেখানে কী ঘটেছে তা জানার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন তথ্য হাজির করতে পারব।’
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলও যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
এসব হামলায় প্রতিনিয়তই প্রাণ হারাচ্ছে গাজাবাসী, হচ্ছে গুরুতর আহত। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) ইসরায়েলি হামলায় গাজা ও পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ হাজার ৬০০। আহত হয়েছে ২৩ হাজারেরও বেশি। এসব হামলায় নিহতদের প্রায় শতভাগই বেসামরিক নাগরিক। তাদের মধ্যে আবার অধিকাংশই নারী ও শিশু।