নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে সম্প্রতি চতুর্থ দফায় বাড়তে থাকা করোনাভাইরাস সংক্রমণের পেছনে অনানুষ্ঠানিকভাবে ওমিক্রনের উপধরনকে দায়ী করে আসছিলেন রোগতত্ত্ববিদেরা। এবার সেটিই কিছুটা নিশ্চিত হলো গবেষণায়। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে বাংলাদেশি দুই জনের শরীরে ওমিক্রন ধরনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আব্দুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আজ মঙ্গলবার জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক যশোরের করোনায় আক্রান্ত দুই ব্যক্তি থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে বিএ৪ / ৫ নামের উপধরনটি শনাক্ত হয়েছে।’
এই দুই জনের একজন ৪৪ বছর এবং অন্যজন ৭৯ বছর বয়সী। আক্রান্ত ব্যক্তির একজন বুস্টার ডোজ এবং অপরজন দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। বর্তমানে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অন্যজন বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে হঠাৎ করেই সারা দেশে বাড়ছে সংক্রমণ। চলতি মাসের ৩ তারিখ থেকে ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল সোমবার ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৩ জন আক্রান্ত শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই শনাক্ত হয়েছেন ৭৯৮ জন।
চলমান সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে একই ধরন কাজ করছে বলে মনে করছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটছে। এতে কোন ধরন কাজ করছে শিগগিরই আমরা জানতে পারব।’
এর আগে গত শনিবার প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন জানিয়েছিলেন, ঢাকায় এখন করোনার পঞ্চম ঢেউ চলছে। নতুন করে ভাইরাসটি হঠাৎ বেপরোয়া হওয়ার পেছনে ওমিক্রনের উপধরন দায়ী। এই মুহূর্তে যাদের এখনো টিকা বাকি তাঁদের টিকা নেওয়া, বুস্টার ডোজ জোরদার এবং মাস্ক ব্যবহারে কঠোর হতে হবে।