নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংস্কারের অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রায়ণের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ‘সমতায় তারুণ্য: ইয়ুথ ফর ইকুয়ালিটি’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পিআইবির মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের যতই প্রশিক্ষণ দিই, সচেতন করি। মালিকপক্ষের কারণে তা তাঁরা দেখাতে পারছে না। বিগত সময়ে সাংবাদিকতা করা যায়নি পলিটিক্যাল ফ্যাসিজমের কারণে। একটা মাফিয়াতন্ত্রের কারণে। আমার মতো সাংবাদিককে চাকরি নিয়ে ইয়া-নফসি ইয়া-নফসি করতে হতো।’
বিগত সরকার ক্রিমিনাল পলিটিক্যাল ইকোনমি তৈরি করেছে জানিয়ে ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘তাদের মূল শ্বাসটা কি? যেটাকে আমরা বলছি ফ্যাসিবাদ, আওয়ামী শাহী, জালিম শাহী বলছি। এটা রাজনৈতিক পরিভাষা। মূলত তাঁরা ক্রিমিনাল পলিটিক্যাল ইকোনমি তৈরি করেছে। জমিজমা-বন পাহাড়, ব্যাংক সবকিছু লুটে নেওয়া যায়। সাগর পর্যন্ত লুট করা যায়। সবকিছু লুটের যোগ্য, ভোগের যোগ্য। ক্রিমিনাল পলিটিক্যাল ইকোনমিতে নারী হয়ে পড়লো বড় ভিকটিম। মিডিয়ায় বিনোদন দেখেছেন, নারীর অধিকার দেখেননি। বৈষম্য বিশেষ কমতে দেখেননি। কিন্তু নারীরা মিডিয়ায় এসেছে, ভিজুয়ালি এসেছে, কে এসেছে, পরি মণি-পাপিয়ারা এসেছে। তারা ক্রিমিনাল পলিটিক্যাল ইকোনমির একটা হাতিয়ার।’
শিকারি সাংবাদিকতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নারী নির্যাতনের বিষয় গণমাধ্যমে বিনোদনে পরিণত করা হয়েছে। তারা বিরোধী দলের বা প্রতিবাদী নারীদের চরিত্র হনন করেছে। এক ধরনের সাংবাদিক ছিলেন যারা শিকারি সাংবাদিক। তারা মানুষকে টার্গেট করে তাদের চরিত্র হনন, ফোন কল ফাঁস করত। ব্যক্তিগত ছবি প্রচার করে কোণঠাসা করত।’