নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহসহ দুজনের সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক।
তিনি জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সড়ক পরিবহন নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। এ ছাড়া একই অভিযোগে তিতাসের সাবেক বিক্রয় সহকারী ফারুক হাসানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান। দুদক থেকে এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথকভাবে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
নোটিশের নথির সূত্র ধরে আরিফ সাদেক আরও জানান, আগামী ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে তাঁদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, আয়-ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয় খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে। অভিযোগে ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী প্রায় ১৫ হাজার বাস থেকে দৈনিক এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এই চাঁদাবাজির মাধ্যমে তিনি নামে-বেনামে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ করেছেন।
সড়ক পরিবহন সমিতির সাবেক নেতা ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে পরিবহন খাত থেকে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছিলেন। তারপর অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে অনুসন্ধান শুরু হয়। উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা খন্দকার এনায়েত উল্লাহর অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান।