হোম > জাতীয়

দুদকের নোটিশে বেনজীরের সাড়া নেই, কী ঘটতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আগামী ৬ জুন পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে। সপরিবারে দেশের বাইরে থাকায় তাঁর দুদকে হাজির হওয়া, না হওয়া নিয়ে রয়েছে সংশয়। তবে হাজির না হলেও সংস্থাটির আইনে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক কমিশনার জহুরুল হক।

আজকের পত্রিকাকে জহুরুল হক বলেন, ‘দুদকের তলবে যদি তিনি (বেনজীর) না আসেন, ধরে নিতে হবে অভিযোগের বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য নেই। তখন রেকর্ডপত্র দেখে অভিযোগ প্রমাণ হলে দুদক তাঁর নামে মামলা করতে পারবে। আর প্রমাণ না হলে অব্যাহতি পাবেন। এই হলো আইনের বিধান।’

বেনজীরের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হলে দুদক তাঁকে সময় দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার বলেন, ‘দুদক যাকে নোটিশ করবে, আসতে বাধ্য কি বাধ্য না তা দুদক আইনে সুস্পষ্ট বলা নেই। তবে আইনে বলা আছে, তিনি না এলে ধরে নিতে হবে তাঁর কোনো বক্তব্য নেই। তাঁর সুযোগ আছে, তিনি একবার সময় চাইতে পারবেন এবং কমিশন তাঁকে ১৫ দিন সময় দিতে পারবে। এই এখতিয়ার কমিশনের আছে।’

সম্পত্তি ক্রোকের বিষয়ে জহুরুল হক বলেন, ‘তাঁর প্রচুর সম্পত্তি, আমরা সেগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় ক্রোকের ব্যবস্থা করছি। আদালতের আদেশের পর সম্পত্তি স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা যায় না। ফলে আদালতের আদেশের পর কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এসব কাজ সম্পন্ন করতে হয়।’ তবে অভিযুক্ত দেশে থাকুক বা না থাকুক ইন এবসেন্স বিচার করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।

দুদকের তলবে হাজির হওয়া না হওয়ার বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত রয়েছ সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মো. মঈদুল ইসলামের। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৬ জুন তিনি হাজির না হলে, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আছে সেটার জবাব না দিলে যে অভিযোগ আছে সেটাই প্রমাণ হয়ে যায়। দুদকের তখন উচিত হবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা।’

এছাড়া তিনি (বেনজীর আহমেদ) নিজে যদি হাজির না হন কিংবা দুদক তাঁকে গ্রেপ্তার না করে তখন পলাতক হিসেবে তাঁর নামে মামলা চলতে পারে বলে জানান দুদকের লিগ্যাল শাখার সাবেক এই মহাপরিচালক।

আসামি অনুপস্থিত বা পলাতক থাকলেও বিচার প্রক্রিয়া সমস্যা হবে না জানিয়ে দুদকের সাবেক এই মহাপরিচালক বলেন, এসকে সিনহার বিরুদ্ধে বিচার হয়েছে। তবে তাকে কী হাজির করা গেছে? কিংবা গ্রেপ্তার করা গেছে? ফলে এটা বোঝা যাচ্ছে, পলাতক হিসেবে বিচার করা সম্ভব। এর আগে অনেকে আসেননি। তাঁদেরও বিচার হয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৮ মে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নোটিশ দেয় দুদক। নোটিশে ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় তাঁকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়। আর ৯ জুন তাঁর স্ত্রী ও কন্যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।

গত ২৩ এপ্রিল বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী–সন্তানদের নামে অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

এরপর সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়।

পরবর্তীকালে ২৩ মে প্রথম দফায় বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি জব্দ (ক্রোক) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাঁদের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব (অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন আদালত।

পরবর্তীকালে গত রোববার আরও ১১৯ দলিলে কয়েক কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজের আদেশ দেন আদালত।

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা কারা, তালিকা করতে কমিশন গঠন চেয়ে রিট

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পুতুলকে অপসারণে দুদকের তৎপরতা

ওপারের কেউ অবৈধভাবে এপারে আসতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গবেষণায় শিক্ষক-কর্মচারীরা পাবেন আর্থিক সহায়তা, নীতিমালা জারি

পূর্বাচলে হাসপাতাল করতে জমি পাবে চীন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়াকে রূপপুরের ঋণ কীভাবে শোধ করবে বাংলাদেশ

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন

কবি কাজী নজরুলের নাতি বাবুল কাজী মারা গেছেন

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

সেকশন