হোম > বিজ্ঞান

অনেক প্রাণীই শীতনিদ্রায় যায়, মানুষ কেন নয়

অনলাইন ডেস্ক

কিছু প্রাণী শীতকালের পুরোটা সময় প্রায় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। শীতকালে প্রকৃতি রুক্ষ হয়ে যায় ও খাবার সংগ্রহ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এই বৈরী পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে বেঁচে থাকার জন্য মূলত প্রাণীরা শীতনিদ্রায় যায়। অনেক দেশে তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে প্রায় ছয় মাস ঘরের বাইরে বের হওয়া যায় না। এরপরও কেন মানুষ শীতনিদ্রায় যায় না? 

শীতনিদ্রায় যাওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে সবার মাথায় আসার কথা ব্যাঙের কথা। এরপরই ভালুক। তবে জাম্পিং মাউস (ইঁদুর), লিটল ব্রাউন ব্যাট (বাদুড়) এবং কয়েক প্রজাতির কাঠবিড়ালও শীতনিদ্রায় যায়। আর পাখিদের মধ্যে একমাত্র পুওরউইল প্রজাতিই শীতনিদ্রায় যায়। এদের আবাসস্থল উত্তর আমেরিকায়। 

যে প্রাণী শীতনিদ্রায় যায় এদের রক্তে এইচআইটি (হাইবারনেশন ইনডাকশন ট্রিগার) নামের একটি উপাদান থাকে। এই উপাদান শীতনিদ্রার প্রস্তুতি নিতে আগাম সতর্কতা দেয়। শীতকালে দিন ছোট হওয়ায়, পর্যাপ্ত খাবার না থাকা ও তাপমাত্রার কমে যাওয়া এইচআইটি উপাদানকে প্রভাবিত করে। তবে এটি কীভাবে কাজ করে তা এখনো জানা যায়নি। 

বিবর্তনের ধারায় বহু প্রাণীর মাঝে শীতনিদ্রার বৈশিষ্ট্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে মানুষের মাঝে এই বৈশিষ্ট্য দেখা যায় না। এর পেছনে দুটো কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। 

মানব বিবর্তন ইতিহাস দেখলে বোঝা যায়, আমাদের পূর্বপুরুষেরা গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে বসবাস করত। ফলে তাদের মাঝে শীতনিদ্রার মতো কোনো বৈশিষ্ট্য দেখা যায়নি। মানুষ মাত্র বিগত সহস্রাব্দে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে বসবাস শুরু করেছে। মাত্র এই কয়েক হাজার বছরের মধ্যে মানুষের শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ডে বড় ধরনের বিবর্তনের ফলে নতুন বৈশিষ্ট্য অর্জন করার সম্ভাবনা নেই। 

দ্বিতীয় কারণ হলো—মানুষের চমৎকার অভিযোজন ক্ষমতা বা বুদ্ধি। শীতের মধ্যে টিকে থাকার জন্য আগুন, বস্ত্র, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসছে আসছে। দীর্ঘ শীতে পর্যাপ্ত খাবার সংগ্রহের জন্য মানুষ নানা কৌশল ব্যবহার করে আসছে। যার ফলে মানুষের দেহে শীতনিদ্রার প্রয়োজন অনুভূত হয়নি। তাই মানুষের দেহে এইচআইটি উপাদানও বিকশিত হয়নি। 

শীতনিদ্রায় যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে প্রাণীরা শরৎকালে প্রচুর পরিমাণে খাবার গ্রহণ করে ও দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ চর্বি জমা করে। শীতনিদ্রার সময় এই চর্বিই তাদের ক্যালরি জোগায়, শরীর উষ্ণ রাখে। ফলে দীর্ঘ শীতনিদ্রা শেষে এরা আবার জেগে ওঠার মতো শক্তি পায়। আবার শীতনিদ্রা থেকে জেগে খাওয়ার জন্য কিছু প্রাণী গুহায় বা গর্তে আগে থেকে খাবার জমা করেও রাখে। 

শীতনিদ্রা কিন্তু সাধারণ ঘুমের মতো নয়। এ সময়ে প্রাণীদের দেহে নানা রকম গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়। এ সময়ে এসব প্রাণীর শরীরের তাপমাত্রা, শ্বাস–প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন অনেক কমে যায়। অনেকের শ্বাস–প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন এতটাই কমে যে, দেখলে মৃত বলে মনে হয়! 

শীতনিদ্রার ওপর বেশ কিছু বিষয় প্রভাব ফেলতে পারে। যেসব স্থানে শীত কম সেসব স্থানের প্রাণীরা সাধারণত পুরো শীতকাল শীতনিদ্রায় থাকে না। 

তথ্যসূত্র: ব্রিটানিকা

প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তির স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান

কক্ষপথে পৌঁছাল ‘নিউ গ্লেন’ রকেট

মৃত্যুর পর আবারও বেঁচে ওঠার সুযোগ ২ কোটি ৪০ লাখ টাকায়

পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে ১৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের ব্ল্যাক হোল থেকে শক্তিশালী বিকিরণ

অবশেষে কক্ষপথে পৌঁছাল বেজোসের ‘নিউ গ্লেন’ রকেট

চাঁদে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার কেন পাঠাচ্ছে নাসা

‘নিউ গ্লেন’ রকেট উৎক্ষেপণ স্থগিত করল জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন

গাঁজা সেবনে সিজোফ্রেনিয়া ও পাগল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে: গবেষণা

উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত বেজোসের ‘নিউ গ্লেন’ রকেট, যে কাজে ব্যবহৃত হবে

শীতকালে মুখ থেকে ধোঁয়া বের হয় যে কারণে

সেকশন