ক্রীড়া ডেস্ক
২০২৪ সালের সেরা পারফরমারদের বেছে নিয়ে বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশ প্রকাশ করেছে আইসিসি। একাদশে দাপট ভারতের। ওয়ানডে ও টেস্টের মতো বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশেও নেই কোনো বাংলাদেশি। ভারতের সর্বোচ্চ চার ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন এ দলে। একজন করে সুযোগ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের।
২০২৩ সালের সেরা একাদশ থেকে এবারও আছেন চারজন। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেরা একাদশের নেতৃত্ব রাখা হয়েছে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। উইকেটরক্ষক হিসেবে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে খেলতে না পারলেও ধারাবাহিক দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। এবারও একাদশে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে ওপেনার হিসেবেও রোহিতকে বেছে নিয়েছে আইসিসি। গত বছর একটি সেঞ্চুরিসহ ১১ ম্যাচে ৩৭৮ রান করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গে ওপেনিংয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। ২০২৪ সালে ১৫ ম্যাচে ১৭৮.৪৭ স্ট্রাইকরেটে ৫৩৯ রান করেছেন তিনি। তিন নম্বরে ইংল্যান্ডের ফিল সল্টকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। ১৭ ম্যাচে এক সেঞ্চুরিসহ ৪৬৭ রান করেছিলেন এই ইংলিশ ব্যাটার।
ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বরে রাখা হয়েছে পাকিস্তানের বাবর আজমকে। গত বছর ২৪ ম্যাচে ৭৩৮ রান করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটার। ফিফটি করেছিলেন ছয়টি। পাঁচ নম্বরে নিকোলাস পুরান আছেন। সেই বছর ২১ ম্যাচে ৪৬১ করেছিলেন ক্যারিবীয় ব্যাটার। ছয় নম্বরে সিকান্দার রাজা। ২৪ ম্যাচে ৫৭৩ রানের পাশাপাশি ২৪টি উইকেট নিয়েছেন এ স্পিন অলরাউন্ডার।
সাত নম্বরে ভারতের পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া জায়গা পেয়েছেন। ১৭ ম্যাচে ৩৫২ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১৬ উইকেট নিয়েছেন কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপজয়ী পান্ডিয়া। ১৪ ম্যাচে ৩১ উইকেট নেওয়া রশিদ খান আছেন ৮ নম্বরে। আফগানরা সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিল সেমিফাইনাল।
১৭৯ রান ও ৩৮ উইকেট নেওয়া শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আছেন ৯ নম্বরে। ৮ ম্যাচে উইকেট নেওয়া জসপ্রীত বুমরা ও ১৮ ম্যাচে ৩৬ উইকেটশিকারি আর্শদীপ সিংকে রাখা হয়েছে মূল পেসার হিসেবে। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বুমরা রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ১৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরাও হয়েছিলেন তিনি।
আইসিসি বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক, ভারত), ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া), ফিল সল্ট (ইংল্যান্ড), বাবর আজম (পাকিস্তান), নিকোলাস পুরান (উইকেটরক্ষক, ওয়েস্ট ইন্ডিজ), সিকান্দার রাজা (জিম্বাবুয়ে), হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত), রাশিদ খান (আফগানিস্তান), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), জাসপ্রীত বুমরা (ভারত) ও আর্শদীপ সিং (ভারত)।