ক্রীড়া ডেস্ক
আরিনা সাবালেঙ্কার সামনে তিনি ছিলেন আন্ডারডগ। সাবালেঙ্কা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। আর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে এবারই তাঁর প্রথম উঠে আসা। কিন্তু ফাইনালে বাজিমাত করলেন আন্ডারডগ ম্যাডিসন কিসই। মেয়েদের এককের ফাইনাল ৬-৩,২-৬, ৭-৫ গেমে জিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানি হিসেবে করলেন আত্মপ্রকাশ।
জয়ের পর হাত মুঠোবন্দী করে চিৎকার। দুই হাত ওপরে তুলে প্রকাশ করলেন উচ্ছ্বাস। আনন্দের আতিশয্যে এক সময় গাল বেয়ে নামল আনন্দাশ্রুও। এমনটা তো হওয়ারই কথা কিসের!
‘ফেবারিট’ সাবালেঙ্কা মেলবোর্ন পার্কে টানা ২০ ম্যাচ ছিলেন অপরাজিত। তাঁর সামনে ছিল ইতিহাস গড়ার অনুপ্রেরণাও। ফাইনাল জিতলেই তিনি হয়ে যেতেন টানা তিনটি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনজয়ী এই শতাব্দীর প্রথম নারী প্রতিযোগী। সবশেষ যে কীর্তির জন্ম দিয়েছিলেন মার্টিনা হিঙ্গিস (১৯৯৭-১৯৯৯)। কিন্তু কোনো অনুপ্রেরণা কাজে আসেনি সাবালেঙ্কার।
প্রথম সেটটি অবশ্য সহজেই জিতেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান কিস। আর তৃতীয় সেট জিতেই নিশ্চিত করেন প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম। এর আগে ২০১৭ সালে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন। সেবার হেরে গিয়েছিলেন স্লোন স্টিভেনসের কাছে। ৬-৩,৬-০ গেমের সেই হার এখনো বিচলিত করে তাঁকে। তবে সেই ফাইনালের হার থেকে শিখেছেন তিনি। তার আজকের ফাইনালে ম্যাডিসন কিস ছিলেন অন্য এক প্রতিপক্ষ!
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানি হতে তাঁকে হারাতে হয়েছে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশের সেরা চার প্রতিপক্ষকে। ২০১১ সালে চীনের লি নার পর তিনিই প্রথম সেরা দশে থাকা চার প্রতিযোগীকে হারিয়ে শিরোপা জিতলেন। চতুর্থ রাউন্ড থেকে ফাইনাল পর্যন্ত সবখানেই ম্যাডিসন কিসকে খেলতে হয়েছে তিনটি করে সেট। এভাবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জেতা এই প্রথম।