ক্রীড়া ডেস্ক
‘বাঁচা-মরার’ ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয় পেলে কে না আত্মহারা হবেন? সেই আনন্দে মেতেছিলেন বিরাট কোহলিরা। গতরাতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ইনিংসের শেষ বলটির পরপরই উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। একে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করতে থাকেন কোহলি-ফাফ ডু প্লেসি-গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। মাঠে ঘুরে ঘুরে সমর্থকদের অভিনন্দনের জবাবও দিতে থাকেন তাঁরা।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের একপাশে যখন স্বাগতিক সমর্থকদের উল্লাস, অন্য পাশে নীরব হলুদ ঢেউ। যশ দয়াল ইনিংসের শেষ বলটি করতেই একরাশ হতাশা নিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল চেন্নাইয়ের যে যাওয়া হলো না প্লে অফে!
প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে নিজেদের স্কোরের চেয়ে চেন্নাইকে ১৮ রানের কমে আটকাতে হতো বেঙ্গালুরুকে। সেটিই করেছে তারা। শেষ ওভারে ১৭ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ে। দয়ালের সেই ওভারের প্রথম বলে দারুণ এক ছয় হাঁকিয়ে সমীকরণ মেলানোর আভাস দিচ্ছিলেন ধোনি। কিন্তু পরের বলে তুলে দেন ক্যাচ। এরপর আর চেন্নাই সমীকরণ মেলাতে পারেনি।
তবে সেই ম্যাচ জিতে প্লে অফের যাওয়ার আনন্দে মাতা বেঙ্গালুরু ম্যাচ শেষে হাত মেলাননি ধোনির সঙ্গে। সেটি নিয়ে কোহলিদের ভর্ৎসনা করেছেন সাবেক ইংলিশ মাইকেল ভন ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। ৪২ বছর ধোনির হয়তো এটিই শেষ আইপিএল। অবশ্য ভারতের সাবেক অধিনায়ক এ নিয়ে অবশ্য এখনো কিছু বলেননি। তবে গতকাল ম্যাচ শেষে তিনি অপেক্ষায় ছিলেন বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়েরা এসে তাঁর সঙ্গে হাত মেলাবেন। কিন্তু সেটি দেখা যায়নি।
ধোনির মতন এমন কিংবদন্তিকে অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা করা নিয়ে নিয়ে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে ভোগলে বলেছেন, ‘আমি এমন দৃশ্য দেখিনি। আপনি বিশ্বকাপ জিতলেও কিছু যায় আসে না, তবে আপনার উচিত সমস্ত আবেগ পেছনে ফেলে হাত মেলানো। এটি আমাদের খেলা সম্পর্কে দারুণ এক বার্তা দেয়। কারণ, এই সত্যটির প্রতীকী হলো, আমাদের বিরোধিতা শেষ। আমরা একে অপরকে এক ইঞ্চিও ছাড় দিইনি তবে এটি কেবল একটি খেলা ছিল।’
আর এ নিয়ে ভন বলেন, ‘তাদের অসংখ্য সমর্থক থাকতে পারে তবে দলটি (বেঙ্গালুরু) আমাকে রাগান্বিত করেছে। বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়রা উদ্যাপনে ব্যস্ত ছিল কিন্তু তাদের ধোনির সঙ্গে হাত মেলানো উচিত ছিল। জানি না, এটি ধোনির শেষ ম্যাচ ছিল কিনা।’