নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। এবারো শিরোপা ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। কিন্তু শুরুতেই তাদের কাজটা কঠিন করে দিল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। প্রথমবারের মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট খেলতে খেলতে এসেই চমকে দিল তারা।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে হেসেখেলেই হারিয়েছে রূপগঞ্জ। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের উদ্বোধনী দিনে রূপগঞ্জের বিপক্ষে আবাহনী হারল ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ৮ ওভার বাকি থাকতে স্বপ্নের জয় তুলে নেয় নবাগত দলটি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তোলে আবাহনী। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে দারুণ জয় তুলে নেয় রূপগঞ্জ। নিষ্প্রাণ উইকেটে রান তাড়ার কাজটা সহজ করে দেন দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জাকির হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে ১৬৬ রান যোগ করেন তাঁরা। দুই ওপেনারকেই ফেরান পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।
তাতে অবশ্য সহজ জয় আটকায়নি রূপগঞ্জের। ওপেনারদের এনে দেওয়া শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে সুন্দর সমাপ্তি টানেন অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ১৫ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন মার্শাল। তার সঙ্গী ফজলে ১০ রানে অজেয় থাকেন। এ ছাড়া তিনে নামা অপরাজিত বাবা ফেরেন ১১ রানে। শিকারি তানজিম হাসান সাকিব।
রূপগঞ্জের জয়ের ম্যাচে সেরার খেতাব পেয়েছেন জাকির। ১১৭ বলে ১১৬ রানে আউট হন তিনি। ফেরার আগে ১৫টি চার ও ২ ছক্কা হাঁকান এই ওপেনার। অপরপ্রান্তে মিজানুর ফিরেছেন সেঞ্চুরির আভাস নিয়ে। ৮২ বলে ৯৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন মিজান। ইনিংসটি সাজানো ১২টি চার ও ৩ ছক্কায়।
প্রতিপক্ষ দুই ব্যাটারের দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্লান হয়ে গেলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধুঁকতে থাকা আবাহনী ওপেনার জ্বলে উঠলেন ডিপিএলে। নাঈমের শতকে ভর করে দলীয় সংগ্রহ ২৫০ ছাড়ায় আবাহনী। কিন্তু সতীর্থ বোলারদের ব্যর্থতায় বিফলে গেছে নাঈমের ১১৫ রানের ইনিংসটা। ১৩২ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আবাহনী যে খাদে পড়েছিল সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন নাঈম। তিনি ছাড়া দলটির পক্ষে উল্লেখযোগ্য রান পেয়েছেন কেবল দুজন। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩৭ রান যোগ করেন। ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফেরা পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
রূপগঞ্জ বোলারদের তোপে আবাহনীর সাত ব্যাটার যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। ২টি করে শিকার মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ ও ফরহাদ রেজার। খালি হাতে ফেরেননি শফিকুল ইসলাম, অপরাজিতও। বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল হিসেবে আবাহনীকে নাগালের বাইরে যেতে দেয়নি রূপগঞ্জ।