নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) মাঝপথেই সাকিব আল হাসান গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে, পরিবারের কাছে। যাওয়ার আগে মোহামেডানের ক্লাবকে দেওয়া চিঠিতে সাকিব বলে গিয়েছেন, জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকতে থাকতে মানসিক অবসাদ কাজ করছে তাঁর মধ্যে। সেটি থেকে মুক্তি পেতেই পরিবারের কাছে যাচ্ছেন তিনি।
মার্চে আইপিএল খেলতে গিয়ে জৈব সুরক্ষাবলয়ে ঢুকেছেন সাকিব। গত চার মাসে সুরক্ষাবলয় থেকে বেরই হতে পারেননি বাঁহাতি অলরাউন্ডার। মোস্তাফিজুর রহমানের জৈব সুরক্ষাবলয় পর্ব চলছে আরও বেশি সময় ধরে। ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে খেলতে যাওয়ার পর থেকে যেটির শুরু। আইপিএল, আইপিএল থেকে ফিরে হোটেলে বন্দিজীবন, শ্রীলঙ্কা সিরিজ আর এখন ডিপিএল। আবার ডিপিএল শেষ হতেই রওনা দিতে হবে জিম্বাবুয়েতে। হোটেল থেকে মাঠ, মাঠ থেকে হোটেল–এই যেন হয়ে পড়েছে বাঁহাতি পেসারের জীবন!
শুধু সাকিব–মোস্তাফিজ নন, বাংলাদেশ দলের প্রায় সব ক্রিকেটারকেই টানা জৈব সুরক্ষাবলয়ের হ্যাপা সইতে হচ্ছে। হোটেলবন্দী এই সময়গুলোয় পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগও নেই। আবার চাইলেই হুট করে বেরিয়ে পড়াও যাচ্ছে না। এ যেন শারীরিক বাধা নয়, মানসিকভাবেও আটকা পড়ে যাওয়া। তামিম–তাসকিনদের চোটের পাশাপাশি তাই ক্রিকেটারদের মানসিক অবসাদ নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে।
আজ ক্রিকেটারদের মানসিক অবসাদের প্রসঙ্গ এল বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর কথায়। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘যে পরিস্থিতিতে খেলা চলছে শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি সুরক্ষাবলয়ে অবসাদেও আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। শারীরিক ও মানসিক দুই দিক থেকেই আমাদের খেলোয়াড়েরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জানি না কত মাস বা কত বছর এভাবে জৈব সুরক্ষাবলয়ে চলতে হবে। খেলোয়াড়দের মানসিক প্রস্তুতিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
মানসিক অবসাদের ইঙ্গিত দিয়ে মুশফিকুর রহিম এর মধ্যেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছুটি চেয়েছেন। মুশফিকদের ছুটি চাওয়ার বিষয়টি বোর্ড বিবেচনা করবে জানিয়ে দেবাশীষ বলেন, ‘বোর্ড তাঁদের (যাঁরা সমস্যার কথা জানাচ্ছেন) ব্যাপারে অবশ্যই চিন্তাভাবনা করছে। খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে পূর্বপ্রস্তুতি যেন আরও ভালো থাকে, সেই বিষয়টি তাদের আমরা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে কেউ যদি মানসিক অবসাদে ভোগার বিষয়টি তুলে ধরে বিশ্রাম বা ছুটির বিষয়ে আবেদন করে, তাহলে অবশ্যই বোর্ড বিবেচনা করবে।’