নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) হাসানুজ্জামানের ব্যাট থেকে এল এবারের লিগের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার সেঞ্চুরি (৪৮ বলে) করেও অবশ্য আফসোসে পুড়তে হয়েছে তাঁকে। তাঁর দল পারটেক্স ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবের কাছে হেরেছে ২৩ রানে। এ নিয়ে হাসানের দল লিগে ১১তম পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে।
ডিপিএলে অনেক আগেই অবনমন নিশ্চিত হয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের। অবনমন লিগে আজকের ম্যাচটি ছিল তাই শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। এই ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন হাসানুজ্জামান। করলেন ৪৮ বলে সেঞ্চুরি, যেটি বাংলাদেশের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম। দ্রুততম সেঞ্চুরিটা এখনো পারভেজ হোসেনের দখলে। গত বছর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফরচুন বরিশালের হয়ে মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন পারভেজ। তার আগ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল তামিমের। ২০১৯ সালে বিপিএল ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে তামিম ৬১ বলে খেলেছিলেন ১৪১ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন ৫০ বলে। এবার দ্রুততম সেঞ্চুরিতে তামিমকে তিনে নামিয়ে আনলেন ৩০ বছর বয়সী হাসানুজ্জামান।
২০০ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে হাসানুজ্জামান ছাড়া পারটেক্সের কোনো ব্যাটসম্যানই লড়তে পারেননি। প্রথম ওভারে স্কোর বোর্ডে রান তোলার আগেই দুই উইকেট হারায় পারটেক্স। শুরুর এই চাপ একাই সামাল দেন হাসানুজ্জামান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে আব্বাস মুসাকে সঙ্গে নিয়ে ১০৩ রানের জুটি গড়েন হাসানুজ্জামান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে আনিসুল ইসলাম ইমনের বলে ১ রান নিয়ে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে বঙ্গবন্ধু টি–টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের হয়ে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে ৪২ বলে সেঞ্চুরি করে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন।
দুর্দান্ত খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি হাসানুজ্জামান। ৫২ বলে ১০৫ রান করে আউট হন তিনি। ১১ চার ও ৭ ছয়ের মারে সাজানো ছিল হাসানুজ্জামানের ইনিংসটি। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৬ রানে থামে পারটেক্সের ইনিংস।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে রাকিন আহমেদ ও মুহাইমিনুল খানের অর্ধশতকে ২ উইকেটে ১৯৯ রান করে ওল্ড ডিওএইচএস। ৬৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর এই দুজনের ব্যাটেই এবারের ডিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রান তোলে ওল্ড ডিওএইচএস। রাকিন ৫৮ বলে ৯২ ও মুহাইমিনুল ৩৫ বলে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন।