ক্রীড়া ডেস্ক
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর আগেই দুর্বার রাজশাহীর স্থানীয় ক্রিকেটারদের টাকা না পরিশোধ করার খবর সামনে চলে আসে। অবশেষে গত রাতে তাসকিন আহমেদ, এনামুল হক বিজয়, ইয়াসির আলী চৌধুরীরা ২৫ শতাংশ টাকা পেয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই টাকা পাওয়ার পরই জ্বলে উঠেছে দুর্বার রাজশাহী। দুর্দান্ত জয়ে শুরু করেছে চট্টগ্রাম পর্ব।
হ্যাটট্রিক হারের পর টানা দুই জয়ে এবারের বিপিএলে ফর্মে ফেরার আভাস দিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে সিলেটের ভক্ত-সমর্থকদের আশা নিরাশায় পরিণত হতে খুব একটা সময় লাগেনি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি হারল টানা দুই ম্যাচ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬৫ রানে হারাল দুর্বার রাজশাহী।
১৮৫ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথমেই চাপে পড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ২.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৩ রানে পরিণত হয় দলটি। চাপে পড়া সিলেটের এরপর হাল ধরেন জাকির হাসান ও জর্জ মানসি। তবে তাঁরা টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিংটা করতে পারেননি। তৃতীয় উইকেটে ৪৩ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন জাকির ও মানসি। দশম ওভারের তৃতীয় বলে জাকিরকে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙেন মার্ক ডেয়াল। ২৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করেন জাকির।
তৃতীয় উইকেটের জুটি ভাঙার পরই সিলেটের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে তাসের ঘরের মতো। বিজয়, ইয়াসিররা ফিল্ডিংয়ে অসাধারণ ক্যাচ ধরেন। ম্যাচটা জিততে কতটা মরিয়া ছিল রাজশাহী, সেটা বিজয়দের শরীরী ভাষাতেই স্পষ্ট।৪৮ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭.৩ ওভারে ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ছয় নম্বরে নামা জাকের আলী অনিকের ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংসটা শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। সিলেটের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি। জাকিরের ৩৯ রান তাঁদের ইনিংসে সর্বোচ্চ।
দুর্বার রাজশাহীর ৬৫ রানের জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সানজামুল ইসলাম। ৪ ওভারে ২৫ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ম্যাচে তিনিই রাজশাহীর সেরা বোলার। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও আফতাব আলম। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে রিচ টপলিকে বোল্ড করে সিলেটের ইনিংসের ইতি টানেন তাসকিন। এক উইকেট নিয়েছেন ডেয়াল। পারিশ্রমিক জটিলতায় অনুশীলন বাতিল করার ঘটনাও যেখানে শোনা গেছে, সেই রাজশাহীকে আজ সাগরিকা স্টেডিয়ামে দেখে বোঝার উপায় ছিল না। ক্রিকেটটা তারা খেলতে পেরেছে পূর্ণ মনোযোগ দিয়েই।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেন দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক বিজয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৪ রান করে দলটি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন রায়ান বার্ল। ২৭ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৪ ছক্কা ও ১ চার। ইয়াসির করেছেন ১০ বলে ১৯ রান। সিলেটের রুয়েল মিয়া পেয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদুল ইসলাম ও নিহাদুজ্জামান।