ক্রীড়া ডেস্ক
খারাপ সময় আসে। তাই বলে এমন! দুরবস্থা যেন পিছুই ছাড়ছে না চেলসির। গত দুই মৌসুমে রেকর্ড অঙ্কের চুক্তিতে একের পর এক তারকা খেলোয়াড় কিনেও ফলাফল শূন্য, ব্লুজদের কেবিনেটে জমা হয়নি একটি ট্রফিও। এমনকি আগের মৌসুমে খেলতে পারেনি ইউরোপিয়ান কোনো টুর্নামেন্টেও।
এমন পড়তি অবস্থা দেখে কে বলবে, টমাস টুখেলের অধীনে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল চেলসি! জিতেছিল উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপাও। স্টামফোর্ড ব্রিজে রোমান আব্রামোভিচ সাম্রাজ্য শেষ হওয়ার পরপরই মূলত ব্লুজদের পতন শুরু। ওই তিনটিই শেষ শিরোপা তাদের। রুশ ধনকুবের আব্রামোভিচ ব্রিটেনে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ২০২২ সালের মে মাসে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে চেলসি কিনে নেন টড বোহেলি।
মার্কিন ধনকুবের এসেই ঢেলে সাজাতে শুরু করেন স্টামফোর্ড ব্রিজকে। ২০২২-২৩ মৌসুমে ব্যয় করেন ৬১১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ইউরো, যা ওই মৌসুমের দলবদলে সর্বোচ্চ। চেলসির মালিকানা নেওয়ার ৪ মাসের মধ্যে টুখেলকে ছাঁটাই করে ব্রাইটন থেকে নিয়ে আসেন গ্রাহাম পটারকে। এমনিতে চেলসিতে কোচদের হুটহাট চাকরি যাওয়ার রেকর্ড আছে। পটারও বেশি দিন টিকতে পারেননি। দেড় বছরের মধ্যে প্রধান ও অন্তর্বর্তীকালীন মিলিয়ে পাঁচজন কোচ দায়িত্ব পালন করেছেন চেলসির।
সেই শঙ্কা আরও বেড়েছে ইএফএল বা লিগ কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগ চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব মিডসবোরোর কাছে ১-০ গোলে হেরে বসায়। লিগে তাদের যাচ্ছেতাই অবস্থা। মিডসবোরোর মাঠে হারের পর পচেত্তিনোর গেম প্ল্যান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অবশ্য লিগ কাপের ফাইনালে খেলার আশা এখনো আছে চেলসির। তার জন্য ফিরতি লেগে জিততেই হবে। তবে ২০১৬-১৭ মৌসুমে সবশেষ প্রিমিয়ার লিগ জেতা দলটির যেভাবে আবারও বাজে মৌসুম কাটাচ্ছে, হয়তো পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ তো বটে, ইউরোপা বা কনফেডারেশন্স লিগেও থাকতে হতে পারে দর্শক হিসেবে।