ক্রীড়া ডেস্ক
ঢাকা: ইউরোপিয়ান ফুটবলে ইংলিশ আধিপত্যের জৌলুশ ফিরেছে কয়েক মৌসুম ধরে। ২০১৮–১৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগের দুটিতেই দেখা মিলেছিল ‘অল ইংলিশ’ ফাইনালের। এক মৌসুম বিরতি দিয়ে আবার দুই প্রতিযোগিতায় অল ইংলিশ লড়াইয়ের সম্ভাবনা জেগেছিল। উনাই এমেরির ভিয়ারিয়ালের কাছে হেরে ইউরোপা থেকে আর্সেনালের বিদায়ে সেটি আর হচ্ছে না।
এমন নয় যে হঠাৎ করেই ইংলিশ ফুটবলে এই রমরমা অবস্থা! বেশ লম্বা সময় ধরেই রূপ বদলাচ্ছিল ইংলিশ ফুটবলে। তারুণ্য, অর্থ ও কোচিংয়ের অভিনবত্বেই এই বিপ্লব। যার ফল এখন পাচ্ছে ক্লাবগুলো।
চলতি মৌসুমে ফাইনাল নিশ্চিত করা তিন দলেই তারুণ্যের ছড়াছড়ি। বিপরীতে বড় বড় নাম নিয়ে স্প্যানিশ, ইতালিয়ান এবং জার্মান্ট জায়ান্টরা রীতিমতো ‘বুড়িয়ে’ যাওয়া দল। রিয়াল মাদ্রিদ ও চেলসিকেই দেখুন। দুই লেগেই চেলসির তরুণ তুর্কিদের পেছনে দৌড়াতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছিল রিয়ালের তারকা নামগুলো। রিয়ালের দুই তারকা বেনজেমা ও রামোসের সম্মিলিত বয়স ৬৮। যেখানে তিন চেলসি তারকা ম্যাসন মাউন্ট, টিমো ভের্নার এবং কাই হাভের্টজের বয়স সম্মিলিতভাবে ৬৮। ম্যানচেস্টার সিটিতেও পেপ গার্দিওলা ভরসা রাখছেন তারুণ্যে। আস্থার দারুণ প্রতিদানও দিচ্ছেন রুবেন দিয়াজ ও ফিল ফোডেনরা। ২৬ বয়সী ব্রুনো ফার্নান্দেজ তো ম্যানইউতে রীতিমতো বিপ্লব ঘটাচ্ছেন।
গত কয়েক বছরে কোচিংয়েও দারুণ বৈচিত্র্য এসেছে ইংলিশ ফুটবলে। পেপ গার্দিওলা ও ইয়ুর্গেন ক্লপের ভিন্নধর্মী কোচিং কৌশলে এসেছে দারুণ সাফল্য। এমনকি চেলসির ফাইনালে ওঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মাঝ মৌসুমে দায়িত্ব নেওয়া টমাস টুখেল। অন্যদিকে ম্যানইউ সুফল পাচ্ছে প্রথম দিকে ব্যর্থ ওলে গুনার সুলশারের ওপর আস্থা রাখায়।
পাশাপাশি ইংলিশ ফুটবলে অর্থের ঢলও সাফল্য লাভে দারুণ ভূমিকা রেখেছে। একটি উদাহরণই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারে। সম্প্রচার চুক্তি থেকে ২০১৮–১৯ মৌসুমে ইপিএল রেলিগেটেড হার্ডাসফিল্ডের আয় বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের চেয়ে বেশি ছিল।
এ অবস্থায় অম্ল–মধুর সমস্যায় আছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। জুনের শুরুতে প্রস্তুতি ম্যাচে হয়তো পূর্ণ স্কোয়াড পাচ্ছেন না তিনি। যাঁদের অনেকেই ব্যস্ত থাকবেন ২৬ মের ইউরোপা লিগ ও ২৯ মের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে। তবে এ বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন।