নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাফের লেবানন আর কুয়েতের অন্তর্ভুক্তি কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই দলের সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য বিপদের কারণ হতে পারত স্বাগতিক ভারতও। তবে আপাতত খানিকটা স্বস্তির, এবারের সাফে তুলনামূলক সহজ গ্রুপেই পড়েছে ২০০৩ সালের সাফজয়ীরা।
আজ ভারতের বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে হয়ে গেছে ২০২৩ সাফের ড্র অনুষ্ঠান। ড্রতে ‘বি’ গ্রুপে লেবানন, মালদ্বীপ ও ভুটানের গ্রুপে পড়েছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। ‘এ’ গ্রুপটি এক অর্থে বেশ কঠিনই। স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে এই গ্রুপে আছে কুয়েত, নেপাল ও পাকিস্তান।
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রতিযোগিতাটির ১৪ তম আসর আগামী ২১ জুন ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হবে। শেষ হবে ৩ জুলাই। সাফের দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত (১০১ তম)। বাকি পাঁচ দলের অবস্থান যথাক্রমে মালদ্বীপ (১৫৪), নেপাল (১৭৪), ভুটান (১৮৫), বাংলাদেশ (১৯২), পাকিস্তান (১৯৫ তম)। সাফের বাইরের দুই দল লেবাননের র্যাঙ্কিং ৯৯ আর কুয়েতের ১৪৩।
প্রতিযোগিতার রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত, প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। ভারতের মতো একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুখস্মৃতি আছে কেবল মালদ্বীপের; ২০০৮ ও ২০১৮ সালে শিরোপা জিতেছিল তারা।
গত ১৩ আসরের মধ্যে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা একবার করে এই শিরোপার স্বাদ পেয়েছে। র্যাঙ্কিং অনুযায়ী সাফের দুই শীর্ষ দল ছিল লেবানন ও ভারত। সাফের স্বাগতিক হিসেবে ‘এ’ পটে ছিল ভারত। ‘বি’ পটে ছিল র্যাঙ্কিংয়ের ৯৯ তম স্থানে থাকা লেবানন। র্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে ছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
বাকি দুই দল মালদ্বীপ ও ভুটানকে কাবু করার ছক তাই কাটতে হবে বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে। গত দশকে মালদ্বীপের কাছে একপ্রকার নাকানিচুবানি খেলেও ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কায় চার জাতি টুর্নামেন্টে দ্বীপ দেশটিকে হারিয়ে ১৮ বছরের জয় খরা কাটিয়েছে বাংলাদেশ দল।
২০১৫ সালে কেরালার আসরে অংশ নিয়েছিল পাকিস্তান। দুই আসর বিরতি দিয়ে এবার ফিরেছে কখনই ফাইনালের মঞ্চে উঠতে না পারা এই দল। এবার গ্রুপ পর্বেই তাদের দেখা হবে ভারত, কুয়েতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে।
২০২৩ সাফে বাংলাদেশের সূচি:
২২ জুন: বাংলাদেশ-লেবানন; বিকাল ৪ টা
২৫ জুন: বাংলাদেশ-মালদ্বীপ; বিকাল ৪ টা
২৮ জুন: বাংলাদেশ-ভুটান; রাত ৮ টা